কুদ্দুস আলম
লালমনিরহাট-শান্তাহার রুটের গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষীপুর ইউনিয়নের উজির ধরণীবাড়ি রেলগেট (গেট নং ৮১) অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে। এখানে কোনো গেটম্যানও নেই। ফলে এক বছরেই ট্রেনে কাটা পড়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় মাহবুবর রহমান ও পার্শ্ববর্তী সাদুল্যাপুর উপজেলার আবেদ আলী গেট অতিক্রম করার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হন।
গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উপর স্থায়ী রেলগেট নির্মাণের দাবিতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে আজ শনিবার উজির ধরণীবাড়ির ওই গেট এলাকায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মতিয়ার রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোসলেম উদ্দিন সরকার, মাহবুবার রহমান, মোখলেছার রহমান, হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, লক্ষীপুর-সাদুল্যাপুর যোগাযোগের মাধ্যম এই রেলগেটটি। বিশেষ করে লক্ষীপুর হাটের দিন অসংখ্য মানুষ ও যানবাহন যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু ট্রেন যাতায়াতের সময় সংকেত দেয়ার কেউ নেই। ফলে মানুষজন নিজের ইচ্ছামাফিক যাতায়াত করে । রেল লাইনের দুপাশে গাছ থাকায় ট্রেন দেখাও যায় না। বক্তারা অবিলম্বে উজির ধরণীবাড়িতে স্থায়ী রেলগেট নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান। মানববন্ধনে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।