• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১-৯-২০২২, সময়ঃ সকাল ০৯:১৪
  • ৯৩ বার দেখা হয়েছে

উলিপুরে অর্ধশতাধিক বাড়ী তিস্তাগর্ভে বিলীন

উলিপুরে অর্ধশতাধিক বাড়ী তিস্তাগর্ভে বিলীন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি 
কুড়িগ্রামে উলিপুরে খরস্রোতা তিস্তার আকর্ষিক ভাঙনে গত দুদিনের ব্যবধানে একটি কমিউনিটি কিনিক, একটি মাদ্রাসা, একটি মসজিদ ও একটি ব্রাক স্কুলসহ ৫৫ বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েগেছে। পশ্চিমবজরা এলাকায় এখন ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে। এখনো ভাঙনের মুখে রয়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি। সহায় সম্বলহীন মানুষগুলো কোথায় আশ্রয় নেবে তার কোনো কিনারা করতে না পারায় বর্তমানে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের তিস্তা তীরবর্তী পশ্চিম বজরা ও কালপানি বজরায় গিয়ে খরস্রোতা তিস্তার ভয়াবহ ভাঙনের দৃশ্য চোখে পড়ে। সেখানে শুধুই ঘরবাড়ি হারা মানুষের আর্তনাদ।
সর্বস্ব হারিয়ে সহায় সম্বলহীন মানুষের আহাজারিতে সেখানকার বাতাস ক্রমাগত ভারী হয়ে আসছিল। তিস্তার ভাঙন এতটাই তীব্র যে বাডীঘর গাছপালা থালা-বাসন চৌকি কোন কিছুই রা করার যেন সময় ছিল না। গত দুইদিনে তিস্তা নদীর পানি সামান্য বৃদ্ধি পেলেও তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 
ভাঙনের শিকার হামিদুল সাংবাদিকদের জানান, তারা চার ভাই দীর্ঘদিন ধরে তিস্তাপাড়ে বসবাস করেন। এমন ভাঙ্গন সে এর আগে কখনোই দেখেনি।
গত সোমবার দিবাগত রাত বারোটার দিকে হঠাৎ করে ভাঙন শুরু হয়ে তা তীব্র আকার ধারণ করে। ভাঙনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে চোখের সামনে ঘর বাড়ি গাছপালা, সুপারি বাগান বিলীন হয়ে যাচ্ছে করার কিছুই নাই। গভীর রাতে ভাঙন শুরু হওয়ায় তিনি সহ অনেকেই ঘরবাড়ি রা করতে পারেনি। 
বর্তমানে সেখানে ভাঙনের মুখে রয়েছে শতাধিক বাড়ি। ভাঙন অব্যাহত থাকায় গোটা এলাকা জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তিগ্রস্ত পরিবারগুলো কোথায় থাকবে কি খাবে তা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
বজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি রেফাকাত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড, উপজেলা প্রশাসন কিংবা স্থানীয় নেতারা কেউ তিগ্রস্ত এলাকা দেখতে আসেনি। ফোন দিলে কেউ ফোন ধরেন না। তিগ্রস্ত মানুষগুলো এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে রয়েছে। 


 

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়