নিজস্ব প্রতিবেদক ►
গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের মতাসীন দলের সাবেক এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে নৃশংসভাবে হত্যার ছয় বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে।
আলোচিত এ হত্যার ঘটনার মামলার রায় ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর ঘোষণা করেন গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক দিলীপ কুমার ভৌমিক। রায়ে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী সাবেক এমপি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুল কাদের খান, তার পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক হান্নান ও ভাতিজা মেহেদীসহ সাতজনকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত।
দ-প্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ছয়জন কারাগারে থাকলেও ঘটনার পর থেকেই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা পলাতক চন্দন কুমারকে গত অক্টোবরে গ্রেফতার করে র্যাব।
এদিকে রায় ঘোষণার তিন বছরেও দণ্ডপ্রাপ্তদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ-ের আদেশ কার্যকর না হওয়ায় ক্ষুব্ধ নিহত সংসদ সদস্যের স্বজন ও এলাকাবাসী। দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন লিটনের স্ত্রী সৈয়দা খুরশিদা জাহান স্মৃতি।
তিনি বলেন, মাটি ও মানুষের নেতা ছিলেন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। যত দ্রুত হত্যাকারীদের ফাঁসির আদেশ কার্যকর হবে, ততই তার আত্মাসহ আমাদের আত্মা শান্তি পাবে। তবে মামলার রায় প্রত্যাখ্যান করে উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন আসামি পক্ষ।
বর্তমানে উচ্চ আদালত আপিল শুনানির জন্য অপোয় রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেলা জজ ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ফারুক আহম্মেদ প্রিন্স। তবে দ্রুতই আপিল নিষ্পত্তি এবং আসামিদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে বিচারিক আদালতের রায়ই বহাল থাকার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার নিজ বাড়ি সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ায় দোয়ার আয়োজন করেছে পরিবার। এ ছাড়া সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও দলীয় কার্যালয়ে দোয়া অনুষ্ঠানসহ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।