নিজস্ব প্রতিবেদক ►
সরকার কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও ন্যায্যমূল্যে কৃষকদের দোর গোড়ায় সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রতিটি ইউনিয়নে ৯ জন করে খুচরা সার বিক্রেতা কিন্তু বিসিআইসির নিয়োগকৃত পাইকারি সার ডিলাররা এক তরফাভাবে কৌশলে ভরা মৌসুমে কৃত্রিম সার সংকট সৃষ্টি করে অযাতিত মূল্য বাড়িয়ে দেয়। তারা ফরিয়া দালালের মাধ্যমে সার বিক্রি করে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করে থাকে। অথচ এজন্য আইডি কার্ডধারী খুচরা সার বিক্রেতাদের দোষারোপ করা হয়। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ এবং দেশের কৃষকদের মাঝে সারের সঠিক মূল্যে বিতরণ বিপণন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আজ সোমবার গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমানের কাছে ৭ দফা সুপারিশ সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করে জেলা খুচরা সার বিক্রেতা অ্যাসোসিয়েশন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা জেলা খুচরা সার বিক্রেতা অ্যাসোসিয়েশনের দীপক কুমার পাল, সমশ উদ্দিন, অর্জুন কুমার সাহা, আব্দুস সালাম, রাজা মিয়া, সোহেল রানা, সুনীল কুমার সাহা, এরশাদ মিয়া, আব্দুস সাত্তার, সবুর প্রধান, ফারুকুল ইসলাম, আরমান আলী, আজাহার মন্ডল, সজীব অধিকারী, প্রভাত চন্দ্র সাহা, ছকু মিয়া প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখিত ৭ দফা সুপারিশগুলো হচ্ছে- সমন্বিত সার বিতরণ বিপণন নীতিমালা ২০০৯ এর পুরোপুরি বাস্তবায়ন, সার বীজ মনিটরিং জাতীয়, আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলাসহ সকলস্তরের কমিটিতে বৈধ খুচরা সার বিক্রেতাদের প্রতিনিধি অন্তর্ভূক্ত, প্রতিটি মৌসুমের শুরুতে খুচরা সার বিক্রেতাদের সাথে সংশ্লিষ্ট মনিটরিং কমিটি ও প্রশাসনের নির্দেশনামূলক মতবিনিময়, খুচরা সার বিক্রেতাদের সার বিক্রয়ের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণের পাশাপাশি তাদের কমিশন কিংবা লভ্যাংশ নির্ধারণ, খুচরা সার বিক্রেতাদের মাঝে সুষম পদ্ধতিতে সারের বরাদ্দ, বিতরণ ও বিপণনের পদক্ষেপ গ্রহণ, সরকারি অথবা বিসিআইসি এর গুদাম থেকে খুচরা সার বিক্রেতাদের কাছে সার সরবরাহের ব্যবস্থা এবং খুচরা বিক্রেতাদের বিএডিসি’র অন্তর্ভূক্ত সার ডিলার হিসেবে মনোনয়ন প্রদান, সার উত্তোলন ও সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ।