• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২৭-১-২০২৪, সময়ঃ বিকাল ০৪:৪২

গাইবান্ধা সদর উপজেলা ক্ষেতমজুর ও কৃষক সংগঠনের নতুন কমিটি

গাইবান্ধা সদর উপজেলা ক্ষেতমজুর ও কৃষক সংগঠনের নতুন কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক

অধিকার আদায়ের সংগ্রামের মাধ্যমে বিপ্লবী ধারার সংগঠন গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাসদ (মার্কসবাদী)’র সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ও কৃষক সংগঠনের গাইবান্ধা সদর উপজেলার নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

আজ শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে সংগঠনের চতুর্থ কাউন্সিল শেষে ২২ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হাবীব সাঈদ।

নতুন কমিটিতে গিদারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক লেবুকে সভাপতি ও মাহবুবর রহমান খোকাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। 

কমিটির বাকী সদস্যরা হলেন- সহসভাপতি কাজী আবু রাহেন শফিউল্লাহ খোকন, অতুল চন্দ্র বর্মন, ডাক্তার আব্দুল জোব্বার, আব্দুর সাত্তার ও অফিজ উদ্দিন, সহকারি সম্পাদক  চাঁন মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজালাল  তোতাঁ মিয়া, প্রচার-প্রকাশনা ও দপ্তর সম্পাদক পরমানন্দ দাস। এছাড়া কমিটির বাকী ১২ জনকে সাধারণ সদস্য করা হয়েছে। 

এর আগে, বেলা ১১টার দিকে ১নং রেলগেট এলাকায় সংগঠনের কার্যালয় চত্বরে কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের শুরুতে সংগীত পরিবেশন করেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের জেলা সংগঠক ও গণসংগীত শিল্পী সন্তোষ কুমার বর্মন। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবারও সংগঠনের কার্যালয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। 

সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ও কৃষক সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হাবীব সাঈদ, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা কমিটির সদস্য কাজী আবু রাহেন শফিউল্লাহ খোকন ও অ্যাডভোকেট নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী প্রমুখ। 

বক্তারা বলেন, কৃষিপ্রধান এদেশের শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। অথচ সেই কৃষি ও কৃষক বিপর্যস্ত। তাদেরকে রক্ষা করতে সরকারের কোন ভূমিকায় দৃশ্যমান নেই। এই ব্যবস্থাকে রক্ষা করতে হলে কৃষকদের অধিকার ও জীবনের সংকট নিয়ে শক্তিশালী গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সেইসাথে হাটে-হাটে খোলা বাজারে ন্যায্য মূল্যে ধান, আলু, কুমড়া, টমেটো, বেগুনসহ সকল কৃষি পণ্য ক্রয়, বিনা টাকায় সার, তেল ,বীজ, কীটনাশক  কৃষকদের সরবরাহ করতে হবে। বিএডিসিকে সচল, অর্থনীতি ও দেশ বাঁচাতে সকল কৃষি ঋণ প্রণোদনা প্যাকেজ সুদমুক্ত বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানিসহ সার, ডিজেলের দাম কমানো বর্গা চাষী-ভূমিহীন ও ক্ষুদ্র চাষীদের ঋণ প্রাপ্তি নিশ্চতে নীতিমালা পরিবর্তন, ভূমিহীন-ক্ষেতমজুর- ক্ষুদ্রচাষীদের নগদ অর্থ সহায়তা ও আর্মি রেটে গ্রামীণ রেশনিং চালু, ভিজিএফ-ভিজিডিসহ সামাজিক সুরক্ষায় বরাদ্দের পরিমাণ ও সংখ্যা বাড়ানো, ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষিঋণ সুদসহ মওকুফ, কৃষকের নামে দায়েরকৃত সার্টিফিকেট মামলা এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা প্রত্যাহার, এনজিও ঋণের কিস্তিতে নির্যাতন হয়রানি বন্ধ, সকল হাটে টোল চাট লাগানো, ইজারাদারী হয়রানী এবং জুলুম-নির্যাতন বন্ধে কার্যকর উদ্যোগের দাবি জানান বক্তারা। 

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়