• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৬-১০-২০২২, সময়ঃ সকাল ১১:০৩

গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যু কিডনি রোগে

গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যু কিডনি রোগে

অনলাইন ডেস্ক ►
কিডনি জটিলতায় গাম্বিয়ায় ৬৬ শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শিশু মৃত্যুর ঘটনায় পশ্চিমা আফ্রিকার ছোট্ট দেশটিতে তোলপাড় শুরু হয়। ইতিমধ্যেই হাম ও ম্যালেরিয়াসহ একাধিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা মোকাবিলা করছে দেশটি। আগস্ট নাগাদ ২৮ শিশুর মৃত্যু হয়। 

তবে স্বাস্থ্য কর্তৃপ জানিয়েছিল, এই সংখ্যা বাড়তে পারে। মৃতের সংখ্যা এখন ৬৬ জনে দাঁড়িয়েছে বলে বুধবার ডাব্লিউএইচও জানিয়েছে। ভারতের ওই ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিটির তৈরি দূষিত কাশি ও ঠান্ডার সিরাপের সম্পর্ক থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। 

গতকাল বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস সাংবাদিকদের বলেছেন, জাতিসংঘের এই সংস্থাটি ভারতীয় নিয়ন্ত্রক এবং নয়াদিল্লিভিত্তিক ওষুধ প্রস্তুতকারক মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করছে। 

ডাব্লিউএইচও বলছে, ল্যাব বিশ্লেষণ নিশ্চিত হওয়া গেছে, এতে ‘অগ্রহণযোগ্য’ পরিমাণ ডাইথাইলিন গ্লাইকোল ও ইথিলিন গ্লাইকোল রয়েছে যা খেলে বিষক্রিয়া হতে পারে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেডেন ফার্মার পণ্যগুলো বাজার থেকে সরাতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের প্রতি একটি চিকিৎসা পণ্যসংক্রান্ত সতর্কতাও জারি করেছে ডাব্লিউএইচও। তবে এ সতর্কতা জারির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি মেডেন ফার্মা। 

সতর্কবার্তায় ডাব্লিউএইচও আরও বলছে, মেডেন ফার্মার পণ্যগুলো অনানুষ্ঠানিক বাজারের মাধ্যমে অন্যত্রও সরবরাহ করা হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত শুধু গাম্বিয়াতে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রোমেথাজিন ওরাল সলিউশন, কফেক্সমালিন বেবি কফ সিরাপ, মেকফ বেবি কফ সিরাপ এবং ম্যাগ্রিপ এন কোল্ড সিরাপ- এই চারটি পণ্যের বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

জুলাইয়ের শেষের দিকে গাম্বিয়ায় পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মাঝে মারাত্মক কিডনি জটিলতায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ব্যাপকভাবে শনাক্ত হতে থাকে। পরে গত মাসে শিশুদের মৃত্যুর বিষয়টি তদন্ত করে দেখার ঘোষণা দেয় দেশটির সরকার।

স্থানীয়ভাবে বিক্রি করা একটি প্যারাসিটামল সিরাপ সেবনের তিন থেকে পাঁচ দিন পর কয়েকটি শিশু কিডনি জটিলতায় অসুস্থ হয়ে পড়লে গাম্বিয়ার চিকিৎসা কর্মকর্তারা জুলাইতে সতর্কতা জারি করেন। 

মেডেন ফার্মাসিউটিক্যালস তার ভারতীয় কারখানাগুলোতে ওষুধ উৎপাদন করে থাকে। কোম্পানিটির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, সেসব ওষুধ স্থানীয়ভাবে বিক্রির পাশাপাশি এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোতে রপ্তানি করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়