গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি ►
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পঞ্চম শ্রেণীর এক স্কুল শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থীকে গুরুতর অবস্থায় বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে থানায় এ ব্যাপারে একটি ধর্ষণ মামলা হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধর্ষকের সহযোগি মেহেদী হাসান নামের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে।
গোবিন্দগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলা সুত্রে জানা গেছে গত বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর ) সন্ধ্যায় উপজেলার তালুককানুপুর ইউনিয়নের চক শিবপুর গ্রামের মোস্তফা বেপারীর মেয়ে স্থানীয় বালুয়ার বাজারের একটি স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী গরুর খাওয়ার জন্য ধানের খড় আনতে বাড়ীর বাইরে যায়।
বাড়ীর বাইরে যাওয়া মাত্র একই ইউনিয়নের চক সিংহডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল জলিল প্রধানের পুত্র সুমন প্রধান (২৬) ও তার সহযোগী নাকাই ইউনিয়নের পগইল নাকাই গ্রামের মমতাজ আলীর পুত্র মেহেদী হাসান (২৫) ওই শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরে পরিত্যাক্ত চাতালের পাশের একটি ঘাসের জমিতে নিয়ে যায়। সেখানে সুমন প্রধান জোড় পূর্বক ওই স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে। সুমনকে পাহাড়া দিয়ে ধর্ষণে সহায়তা করে মেহেদি হাসান। ধর্ষণের সময় ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রেখে সুমন ও মেহেদী হাসান পালিয়ে যায়।
পরে ওই শিক্ষার্থী পার্শ্ববর্তী এক আতœীয়র বাড়ীতে গিয়ে ধর্ষণের বিয়ষটি জানালে তাকে অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে গোবিন্দগঞ্জ হাসপাতাল ও পরে শহিদ বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সেখানে চিকিসাধীন রয়েছে বলে তার অভিভাবকরা জানিয়েছেন।
এদিকে গত শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে এ ব্যাপারে ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীর পিতা মোস্তফা বেপারী সুমন প্রধান ও মেহেদী হাসানকে আসামী করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর অভিযান চালিয়ে থানা পুলিশ রাতেই মামলার ২ নম্বর আসামী মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করেছে।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইজার উদ্দীন বলেন ধর্ষণ মামলার ২ নম্বর আসামীক গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামী সুমনকে গ্রেফতারের পুলিশী তৎপরতা অব্যহত রয়েছে।