• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৩০-১১-২০২২, সময়ঃ দুপুর ০২:১৫

চরের ব্যবসা বিষয়ক দিনব্যাপি কর্মশালা অনুষ্ঠিত

চরের ব্যবসা বিষয়ক দিনব্যাপি কর্মশালা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক ►

চরাঞ্চলের ব্যবসায়ীদের ব্যবসার ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এক দিন ব্যাপি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার গাইবান্ধার এসকেএস ইন-এর সারাবেলা সভা কক্ষে মেকিং মার্কেট ওয়ার্ক ফর দি যমুনা, পদ্মা এন্ড তিস্তা চরস (এমফোরসি) প্রকল্পের উদ্যোগে এ কর্মশালার শুভ উদ্বোধন করেন এমফোরসি-সুইস কন্ট্রাক প্রকল্পের ইন্টারভেনশন এরিয়া ম্যানেজার মোঃ রবিউল হাসান। 

কর্মশালার যৌক্তিকতা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন এসকেএস ফাউ-েশন এমফোরসি প্রকল্পের সিনিয়র ইন্টারভেনশন অফিসার চন্দ্রনাথ গুপ্ত। কর্মশালায় প্রশিক্ষক মোঃ আমিনুল ইসলাম, পেশা, ব্যবসা, ব্যবসা এবং আয়মূলক কাজের পার্থক্য, ব্যবসায়ীিদর গুনাবলী, ব্যবসা পরিচালনা পদ্ধতি, ব্যবসার বিনিয়োগ ও সংগ্রহ পদ্ধতি, পণ্যের বাজার নির্ধারন ও মার্কেট ম্যাপিং, ব্যবসায়ীদের যোগাযোগ ও যোগোযোগ পদ্ধতি এবং তথ্য প্রবাহ এর গুরুত্বসহ ব্যবসায়ীদের ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা এবং দলীয় কাজের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন।

শুভ উদ্বোধনী বক্তব্যে এমফোরসি-সুইস কন্ট্রাক প্রকল্পের ইন্টারভেনশন এরিয়া ম্যানেজার মোঃ রবিউল হাসান বলেন, এমফোরসি প্রকল্পে কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে বর্তমানে চরে কৃষি ফসলের উৎপাদন অনেক গুন বেড়ে গেছে এখন চরে ভুট্রা বিঘা প্রতি ফলন ৪০-৪৫ মন হচ্ছে। কৃষি ফসল এর উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের ব্যবসাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রকল্পের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের অনেক অবদান রয়েছে। এ জন্য এমফোরসি প্রকল্প চরাঞ্চলের ব্যবসায়ীদের ব্যবসার ব্যবস্থাপনা বিষয়ক দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষন আয়োজন করেছে।

এর ফলে ব্যবসায়ীদের উন্নতির পাশাপাশি কৃষকদের ও উন্নতি হবে, সার্বিক ভাবে দেশের উন্নয়ন ঘটবে। কর্মশালায় ব্যবসায়ী এবং কামারজানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মতিউর রহমান, ব্যবসায়ী মোঃ সোলায়মান মন্ডল, মোঃ মসলেম উদ্দিন লাভলু, মোঃ কমর উদ্দিন, বিশ্বনাথ প্রমুখ ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।
এমফোরসি প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে চরাঞ্চলের কৃষি বাজার ব্যবস্থা উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে নির্ধারিত চর সমূহের দরিদ্র পরিবারের আয় ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্রতা ও বিপদাপন্নতা হ্রাস করা। এই লক্ষ্যে এমফোরসি- প্রকল্পটি দেশের দণি ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে জানুয়ারী' ২০২১ ইং  হতে ডিসে¤¦র' ২০২৪ ইং পর্যনÍ ৬টি জেলার (গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, জামালপুর ও শরিয়তপুর) নতুন এলাকার চরাঞ্চলের চরবাসীদের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নতি, বাজারের সঙ্গে যোগাযোগ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে উদ্ধার হওয়ার বিভিন্ন কৌশল রপ্ত করায় কাজ করছে। 

উল্লেখ্য, প্রকল্পটির প্রথম পর্যায় মে ২০১৩ ইং হতে ডিসেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে সমাপ্ত হয়েছে এবং এর মাধ্যমে ১,২৪,০০০ চর পরিবার উপকৃত হয়েছে এবং ২য় পর্যায়ে ডিসে¤¦র' ২০২৪ এর মধ্যে ৭৫,০০০ চর পরিবারের আয় বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।  

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়