জয়নুল আবেদীন, সাঘাটা ►
দীর্ঘ ৫৭ বছর পর সংস্কার হচ্ছে গাইবান্ধার সাঘাটায় যমুনা নদীর ডানতীর রক্ষা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। ঝুঁকিপূর্ণ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটির অস্তিত্ব ফিরিয়ে আনার লক্ষে ২৩ কোটি টাকা ব্যয়বরাদ্দ ধরে পূন:সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষন প্রকল্প গ্রহণ করেছে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সে লক্ষে বাঁধের ওপর থেকে বাড়ি-ঘর ও সকল স্থাপনা সরিয়ে ফেলার জন্য ইতিমধ্যেই গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড নোটিশ দিলে লোকজন বাঁধের বাড়ি-ঘরসহ অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিয়ে বাঁধ দখলমুক্ত করে। প্রকল্পটির ৪টি প্যাকেজে টেন্ডার হলে দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বাঁধে মাটি কাটার কাজ শুরু করেছে। তবে প্রকল্প এলাকায় কাজের নিয়মাবলীর সাইনবোর্ড থাকার কথা থাকলেও তা লাগানো হয়নি। ফলে কাজের মান নিয়ে সচেতন মহলে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, বন্যার হাত থেকে সাঘাটা উপজেলাকে রক্ষা কল্পে পানি উন্নয়ন বোর্ড বিগত ১৯৬৫ সালে এ বাঁধটি নির্মাণ করে। উপজেলার বাঁশহাটা এলাকা থেকে শুরু করে শেষ সীমানা বসন্তের পাড়া এলাকা পর্যন্ত দৈর্ঘ ১৫ কি:মি: বাঁধটি নির্মাণের ফলে এ উপজেলার মানুষ এবং কৃষকের হাজার হাজার একর জমির ফসল বন্যার হাত থেকে রক্ষা পেয়ে আসছে। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ধীরে ধীরে বাঁধ জুঁড়ে গড়ে ওঠে অসংখ্য অবৈধ বাড়ি-ঘর ও বিভিন্ন স্থাপনা।
পরবর্তীতে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধটি সংস্কারের উদ্যোগ নিলেও অবৈধ বসতি ও স্থাপনার কারণে তা সম্ভব হয়নি। ফলে বাঁধটি দিন দিন বিলিন হতে থাকে। একারণে প্রতিবছর বন্যার সময় বাঁধটির বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গনের মূখে পড়ে। বন্যার সময় জরুরী ভাবে কোনোরকমে ভাঙ্গন ঠেকিয়ে আসছে পানিউন্নয়ন বোর্ড। অবশেষে ৫৭ বছর পর গাইবান্ধা পানিউন্নয়ন বোর্ডের বাঁধটির সংস্কার কাজ হাতে নেয়।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মজিবর রহমান জানান, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধটির পূর্বের রূপে নির্মাণের জন্য ২৩ কোটি টাকা ব্যায়ে তিনটি প্যাকেজে টেন্ডার করা হয়েছে। দায়িত্ব প্রাপ্ত ঠিকাদারগণ বাঁধে মাটি কাটার কাজ শুরু করেছেন। আগামী বর্ষার আগেই প্রকল্পের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা অনুযায়ী দ্রুত কাজ করা হচ্ছে।