
ফিরোজ কবীর—ছবি: মাধুকর।
তিস্তা আকন্দ, সুন্দরগঞ্জ►
৩১ বছরের ফিরোজ কবীরের রয়েছে স্ত্রী ও তিন ছেলে সন্তান। আর দশজনের মত পরিজন নিয়ে সংসার জীবন গড়তে চান তিনি। এখন স্ত্রী ও তিন সন্তানের ভবিষৎ নিয়ে তার অনেক ভাবনা। কিন্তু ইতোমধ্যে তার দুইটি কিডনী ড্যামেজ হয়ে পঞ্চম স্তরে চলে গেছে। তার শরীরে অন্তত একটি কিডনী প্রতিস্থাপন করলে তাকে বাঁচানো যেতে পারে। স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য বাঁচতে চায় সে। ফিরোজ মাঝে মধ্যে তার পরিজন এবং প্রতিবাসিকে জড়িয়ে ধরে বলছেন, ‘আমি কি আমার স্ত্রী ও সন্তানদের আর কোনদিন দেখভাল করতে পারব না’।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের কুটিপাড়া পরান গ্রামের এনামুল হক সরকারের ছেলে ফিরোজ কবীর। দুই ভাই, দুই বোনের মধ্যে ফিরোজ কবীর তৃতীয়। চলতি বছরের ৩ নভেম্বর ফিরোজের পিতা এনামুল হক সরকার মারা যান। তার মা সাইফুন্নাহার বেগম এখন পরিবারটির পরিচালনা করছেন।
পরিবারটি জানান, দীর্ঘ আড়াই বছর ধরে কিডনী সমস্যা নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে ঘুরতে থাকেন তারা। এমনকি দেশের বাইরে ভারতে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। শুরুতেই চিকিৎসা দেন কিডনী বিশেষজ্ঞ চিকিসকগণ। গত ছয় মাস ধরে ডাইলোসিস শুরু করেছেন। বর্তমানে ফিরোজ কবীর রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কিডনী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাক্তার মো. ফারুকুল হাসান তুষারের চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
চিকিৎসকরা বলেছেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে কিডনী প্রতিস্থাপন করতে না পারলে তাকে বাঁচানো যাবে না। সে জন্য সমাজের হৃয়দবান মানুষের কাজে কিডনীর জন্য সহায়তা কামনা করেছেন। মানবিক কারণে যদি কেউ মরনোত্তর অথবা স্বেচ্ছায় কিডনী দান করতে চান, তাহলে পরিবারটি গ্রহন করবেন। পরিবারটির সাথে যোগাযোগের জন্য মোবাইল নং ০১৭৪৫১৮০৭২৯। ফিরোজ কবীরের স্ত্রী ও তিন ছেলে সন্তানের ভবিষৎ জীবন সুগম করার প্রত্যয়ে কোন সুহৃদয়বান ব্যক্তি এ আহবানে সারা দিলে অত্যন্ত কৃতজ্ঞতার সাথে তা গ্রহন করবেন পরিবারটি।