নাটোর প্রতিনিধি ►
নাটোরের লালপুরে সৌদি প্রবাসীর “ইমো” হ্যাক করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সংঘবদ্ধ ইমো হ্যাকিং চক্রের ০৭ জন সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে র্যাব।আজ সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানার র্যাব -৫।
র্যাব-৫, নাটোর ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক অতিঃ পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন জানান,কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার দবির মণ্ডলের ছেলে মনিরুল ইসলামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতরাতে নাটোরের লালপুর উপজেলার বিলমাড়িয়া বাজার এলকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান কালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “ইমো” হ্যাক করে বিকাশের মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে একই উপজেলার বেলাল মন্ডল , মেহেদী হাসান, মোহন সরকার, শিমুল আলী, পরান সরকার, রবি ও রুবেল মন্ডল নামে ইমো হ্যাকিং চক্রের সাত সদস্যকে আটক করে র্যাব । এসময় তাদের কাছ থেকে ০৯ টি মোবাইল সেট,১৫ টি সিমকার্ড ও প্রতারণার ১৫ হাজার চারশত টাকা জব্দ করা হয়।
র্যাব আরো জানায়, অভিযোগকারী মনিরুল ইসলামের সৌদি প্রবাসী চাচাতো ভাই ওয়াসিমের ইমো আইডি হতে মনিরুল ইমো আইডিতে শ্রমিকের বিল দেওয়ার বাবদ টাকা পাঠানোর জন্য একটি বিকাশ নম্বরসহ মেসেজ আসে চলতি বছরের ২৫ অক্টোবর দুপুরে।
মনিরুল ওই মেসেজে পেয়ে সরল বিশ্বাসে ওই বিকাশ নম্বরে প্রথম ২১,৫০০/- টাকা প্রেরণ করে। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে তার চাচাতো ভাইয়ের ইমো আইডি হতে বেশ কিছু বিকাশ নম্বর পাঠায় এবং সেগুলোতেও টাকা দিতে বলে। মনিরুল ইসলাম উক্ত বিকাশ নম্বর গুলোতে সর্বমোট ১,২০,৮৬০/-টাকা পাঠায়। কেননা এর আগেও মনিরুল তার চাচাতো ভাইয়ের কথামত বিকাশে টাকা পাঠিয়েছিল। পরে মনিরুলের চাচাতো ভাই ওয়াসিম তাকে ফোন করে জানায় যে, তার ব্যবহৃত ইমো একাউন্টটি হ্যাক হয়েছে।
কিন্তু ততক্ষণে মনিরুল ইসলাম ওই বিকাশ নম্বরগুলোতে ১,২০,৮৬০/-টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে বলে জানায় তার ভাইকে এবং সে বুঝতে পারে যে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র তার সৌদি প্রবাসী চাচাত ভাইয়ের ইমো হ্যাক করে পাঠানো বিকাশ নম্বর গুলোর মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। । পরে মনিরুল ইসলাম (৩৮) র্যাবের কাছে অভিযোগ করলে। অভিযানে নামে র্যাব। আটকৃত সাতজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইমো হ্যাকিং এর মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করে তারা।
পরে আটককৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে নাটোর জেলার লালপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।