আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ ►
নতুন ধানের পিঠাপুলি দিয়ে নওগাঁয় পালন করা হচ্ছে নবান্ন উৎসব। প্রতি বছরের মতো আজ পহেলা অগ্রহায়ণে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নওগাঁয় দিনব্যাপী এই নবান্ন উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এদিন শহরের সমবায় চত্বরে সংস্কৃতিকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষ জড়ো হন। নেচে গেয়ে লোকায়ত জীবন ও সংস্কৃতির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করে তুলে ধরা হয় গান, নৃত্য ও কবিতার ভাষায় ফসলকেন্দ্রিক জীবনযাত্রা। শিল্পীদের কণ্ঠে কখনও একক, কখনো দলীয় গান। কখনও আবার গানের সঙ্গে সমবেত নৃত্য। নানা পরিবেশনা ছাড়াও উৎসবে আগতদের জন্য বসেছে পিঠাপুলির মেলা।
এ উপলক্ষে সকালে শহরের সমবায় চত্বরে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান। এসময় জেলা প্রশাসককে সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ এর আয়োজন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর শরীফুল ইসলাম খান, জাতীয় রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেনসহ অন্যান্যরা।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন, ঐতিহ্যের ভান্ডার হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ। বাংলার প্রতিটি প্রান্তে মিশে আছে শত বছরের ইতিহাস আর ঐতিহ্য। নবান্ন হচ্ছে তারই একটি অংশ। পহেলা বৈশাখের পরই হচ্ছে নবান্ন উৎসব। আগের সময়ে এই উৎসবকে ঘিরে গ্রাম বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে উৎসবের আমেজ বয়ে যেতো। কিন্তু কালের বির্বতনে আর জীবনের যান্ত্রিকতায় আজ আমরা শত বছরের কিষ্টি-কালচারকে হারিয়ে ফেলতে বসেছি।
আমাদের এই নিজস্ব উৎসবগুলোকে আগামী প্রজন্মের কাছে পৌছে দিতে এই ধরনের আয়োজনের কোন বিকল্প নেই। তাই সরকারের পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব এই উৎসবগুলোকে আবারোও ফিরিয়ে আনতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।