Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৮-১-২০২৩, সময়ঃ দুপুর ০২:১৮

পার্বতীপুরের বয়ষ্ক শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমানের স্বপ্নজয় 

পার্বতীপুরের বয়ষ্ক শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমানের স্বপ্নজয় 

পার্বতীপুর (দিনাজপুর)প্রতিনিধি ►

পার্বতীপুরের প্রত্যন্ত পল্লীর অদম্য মেধার অধিকারী ল্যাম্ব হাসপাতালের স্পেশাল এ্যসাইনমেন্ট  কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান ৫২ বছর বয়সে সান্ধ্যকালীন এম.বি.এ পরীক্ষায় হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট হয়ে এলাকার মানুষের কাছে সুনাম কুঁড়িয়েছেন এবং অতি বয়সী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা লাভে একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।

 এই প্রতিভাবান বয়ষ্ক শিক্ষার্থীর কাকতালীয়ভাবে দেখা মেলে শনিবার রাতে পার্বতীপুর পৌর অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এস.এস.সি. ১৯৮৬-৮৭  ব্যাচের বন্ধুমিলন মেলায়। বন্ধুরা বন্ধুমেলার পক্ষ থেকে বিরল দৃষ্টান্ত  স্থাপনকারী শিক্ষার্থী বন্ধুকে বিশেষ  সম্মাননা ও ক্রেস্ট প্রদান করে।

জানা যায়, দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার রাজবাসর গ্রামের আলহাজ¦ এলাহী বকসের ছেলে হাবিবুর রহমান স্থানীয় জ্ঞানাঙ্কুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬ সালে এস.এস.সি, ১৯৮৮ সালে পার্বতীপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন। এরপর ১৯৯২ সালে ল্যাম্ব হাসপাতালের সেবামূলক কার্যক্রমে মাঠ কর্মী হিসেবে চাকুরীতে যোগদান করেন। পদোন্নতি পেয়ে বর্তমানে স্পেশাল এ্যসাইনমেন্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

উল্লেখ্য, অদম্য ইচ্ছার কাছে কোন বাধাই কাউকে দমাতে পারেনা সেক্ষেত্রে হাবিবুর রহমান একটি মডেল। অনুসন্ধানে প্রকাশ, চাকুরীর পাশাপাশি ১৯৯৩ সালে পার্বতীপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজ থেকে তিনি ডিগ্রী পাশ করেন। এছাড়াও ২০০৭ সালে এশিয়ার ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে মাস্টার্স অব সোস্যাল সাইন্স এম.এস.এস (অর্থনীতি) বিভাগে ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট হন। এরপরেও তিনি থেমে থাকেন নি।

২০২২ সালে একই চাকুরীর পাশাপাশি প্রায় ১৫ বছর পর ৫২ বছর বয়সে গিয়ে হাজী মোহাম্মদ দানেশ  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম সান্ধ্যকালীন ব্যাচে এম.বিএ পরীক্ষায় ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট হন। হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের  ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রফেসর ড. মোঃ জাহাঙ্গীর জানান, বয়স যে কোন ব্যাপার নয় শিক্ষার কাছে তা প্রমাণ করেছে শিক্ষার্থী হাবিবুর রহমান। সে একজন প্রতিভাবান ব্যক্তি। যিনি সবসময় নতুন কিছু শিখতে পছন্দ করতেন। একই  বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিংবিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর ড. মোঃ শামীম হোসাইন জানান, বাংলাদেশেই অনেকেই মনে করেন একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে হয়তোবা আর কোন  শিক্ষা লাভ  করা যায় না। কিন্তু না, হাবিবুর রহমান প্রমাণ করেছেন, শিক্ষা শিক্ষাই।

এছাড়াও, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ডেপুটি রেজিষ্ট্রার মোঃ মোখলেছুর রহমান সালাফি ও ওয়ার্ল্ড মিশন প্রেয়ার লীগের (ল্যাম্ব হাসপাতাল) অপারেশন ডিরেক্টর মি. স্বপন পাহান জানান, অত্যন্ত বিস্ম^য়ের ব্যাপার যে, চাকুরী জীবনের ব্যস্ততাকে সঙ্গে করেও বিশেষ করে সান্ধ্যকালীন ব্যাচে এমন উল্লেখযোগ্য ফলাফল আমাদের গৌরাবান্বিত করেছে। তিনি প্রমাণ করেছেন, “হোয়াট ক্যাননট দ্যা ম্যান?” হাবিবুর রহমান হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকালীলন ১১তম ব্যাচের বয়স্ক শিক্ষার্থী ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad