পীরগঞ্জ(রংপুর) প্রতিনিধি ►
রংপুরের পীরগঞ্জে চলতি মৌসুমে ফুলকপির ভালো ফলন হয়েছে। স্বল্প মেয়াদী এবং কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় ফুলকপি চাষ করে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। খরচের তুলনায় লাভ বেশি হওয়ায় দিন দিন এ অঞ্চলে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ফুলকপি চাষ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সময়মত বীজ বপন ও সুষম সার ব্যবহারের উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে এবার কপির ফলন ভালো হয়েছে। এতে লাভের মুখ দেখছেন চাষীরা। এলাকার উৎপাদিত কপি চাহিদা মিটিয়েও সরবরাহ হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। এ অঞ্চলের চাষীরা তাদের উৎপাদিত কপি এখন বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বাজার দরও পাচ্ছেন ভালো।
উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি রবি মওসুমে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে রকমারী শীতকালীন সবজির আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫’শ হেক্টর জমিতে ফুল ও বাধা কপির চাষ করেছেন চাষিরা। উপজেলার বেশ কিছু এলাকা ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা হলে তারা জানায়, শীতকালীন সবজি ফুলকপি আবাদ করে ভালো লাভ হওয়ায় এখানকার কৃষকরা শীতকালীন সবজি চাষে ক্রমেই আগ্রহী হয়ে উঠছে। তবে এ বছর নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাঝেও ফুলকপির চাষ ও ফলন ভালো হয়েছে। সবজি বিক্রি বিষয়ে কথা হয় চাষিদের সাথে, কষ্ট করে কফি চাষ করলে বিক্রির বিষয় নিয়ে কোনো চিন্তা নেই। দাম কম বেশি হলেও এ অঞ্চলে সবজি গাড়ি যোগে সরাসরি রাজধানীতে যায়।
কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা জমি থেকে পিচ হিসাবে কেনেন। তবে সবমিলিয়ে কফি চাষে অনেক সুবিধা বলে তারা মনে করছেন। কপি চাষি উপজেলা জামালপুর গ্রামের আনিছুর রহমান বলেন, আগাম জাতের ফুল কপির চাষে অনেক ব্যয় হয়েছে। বিশেষ করে সার কীটনাশকের দাম বেশি হওয়ায় কৃষক কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েছিল। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ তার পরেও সবজি চাষের শুরুতেই ফলন ও বাজার ভালো হওয়ায় সবজি চাষে অনেকটাই পুষিয়ে উঠেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সাদেকুজ্জামান সরকার জানান, এ অঞ্চলের কপি চাষিরা অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং ফসল চাষেও অলসতা নেই। যে কারণে তারা সবজী চাষে সুফল পাচ্ছেন। এছাড়াও উপজেলা কৃষি বিভাগের লোকজন চাষিদের সার্বক্ষনিক পরামর্শ দিচ্ছেন। এতে করে চাষীদের সহায়ক হচ্ছে।