• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২-১০-২০২২, সময়ঃ বিকাল ০৩:৪২

পীরগঞ্জে গ্রামীণ সড়কে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই

পীরগঞ্জে গ্রামীণ সড়কে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি ►
রংপুরের পীরগঞ্জ গ্রামীণ সড়কের পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় প্রতি বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এত একদিকে যেমন কৃষি ব্যহত হচ্ছে পাশাপাশি আবাদি জমিসহ পথচারীদের যাতায়াতের চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকাবাসী। 

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলা সদরের মিলনপুর পশ্চিম পাড়া গ্রামের আনারুল মিস্ত্রির বাড়ীর সামনে সামান্য বৃষ্টির পানিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে প্রায়  ৫০ বিঘা কৃষি জমিতে ফসল চাষ ব্যহত হচ্ছে। স্থানীয়রা বলছেন, পানি নিষ্কাশনের জন্র ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টির পানিতে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে পুরো এলাকা। ডুবিয়ে যায় কৃষি জমি ঘরবাড়ি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা। এতে করে কৃষকদের ভোগান্তি দিনের পর দিন বাড়ছে। 

মিলনপুর গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, বর্ষা মৌসুমে তাদের রাস্তার উপর পানি জমে থাকে। কৃষি আবাদি জমিসহ কবর স্থান পানির নিচে তলিয়ে যায়। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় এলাকার প্রায় ৫০ বিঘা জমির ধান ও রবিশস্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রতিবছর। ম্যাপের একটি ক্যানেল ছিল সেটিও বন্ধ করে বাড়ি নির্মান করা হয়েছে অনেক আগেই। গত ৩ বছর ধরে জলাবদ্ধতা সমস্যায় ভুগছেন এলাকার মানুষ। বিশেষ করে মিলনপুর পশ্চিম পাড়ার রাস্তাটি কৃষি কাজের জন্যই ব্যবহার হয়ে থাকে। এই গ্রামের কৃষকের ফসলের জমিতে যাতায়াতের জন্য একমাত্র রাস্তা এটি। তিনি আরও বলেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে এলাকাবাসীর প থেকে অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার মেলেনি। 

পানি বন্দি সৌমি খাতুন বলেন, বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারনে তাদের কয়েকটি বাড়ির লোকজনকে গৃহবন্দি হয়ে থাকতে হয়। বৃষ্টি বাদলের দিনে এসব পরিবারের লোকজন বাইরে যেতে পারে না। পায়ে দগদগে ঘা হয়। যে কারনে বর্ষা মওসুমে এরা ঘওেন অবস্থান করেন। পীরগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম ময়না ময়না মাষ্টার উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার বলেন, ওই এলাকার উপ-সহকারীকে দিয়ে খোজ খবর নেবেন। তবে পানি নিষ্কাশনের বিষয়ে কোন অভিযোগ পাননি তিনি। 

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়