• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৪-১১-২০২২, সময়ঃ বিকাল ০৩:২৬

পীরগঞ্জে রাস্তায় অধিকাংশ লাইট জ্বলছে না

পীরগঞ্জে রাস্তায় অধিকাংশ লাইট জ্বলছে না

পীরগঞ্জ(রংপুর) প্রতিনিধি ►

শুধুমাত্র রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে কাঙ্খিত সুফল মিলছে না প্রত্যন্ত জনপদের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপিত সৌর বিদ্যুৎ এর লাইটগুলো হতে। অধিকাংশ গুলোতেই দীর্ঘদিন ধরে আলো জ্বলছে না। লাইন স্থাপনের প্রাক্কালে স্থান তালিকাভুক্তির সময় স্বজনপ্রীতি করে কোথাও বিত্তবানের উঠানে বসানো হয়েছে সোলার লাইট। তিন বছর পর্যন্ত রক্ষনাবেক্ষনের চুক্তি থাকলেও লাইট পোষ্ট বসানো পর বিল উত্তোলন শেষে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার অভিযোগ রয়েছে, তল্পিতল্পাগুটিয়ে নিয়ে পালিয়েছেন।

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে বিগত ২০১৪-১৫ এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ত্রাণ পুনর্বাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় টিআর, কাবিখা ও বিশেষ বরাদ্দের প্রকল্পের মাধ্যমে সূর্যের আলোকে সোলার প্যানেলে ধারণ করে রাতে ল্যাম্পপোস্টের (সড়কবাতি) মাধ্যমে গ্রাম থেকে গ্রামে সড়কগুলোতে লাইট জ্বালানোর কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।

উপজেলার কাবিলপুর, চতরা,বড় আলমপুর, টুকুরিয়া, চৈত্রকোল, শানেরহাট, রামনাথপুর, রায়পুর, মদনখালী, বড়দরগাহ, কুমেদপুর, মাদারগঞ্জ, পাঁচগাছি এবং ভেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকায় মসজিদ, মাদ্রাসা,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ রাস্তাঘাট, হাট-বাজার ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে প্রায় ৬’শ সোলার সিস্টেম প্যানেল ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয়। প্রতিটি ল্যাম্পপোস্টের বরাদ্দ ধরা হয়েছিল ৭১ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে আভা ডিপার্টমেন্ট সোসাইটি মাঠপর্যায়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। প্রতিটি স্ট্রিট লাইট রক্ষানাবেক্ষনের জন্য তিন বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি রয়েছে।

এদিকে সড়ক বাতিগুলো না জ্বলায় সরকারের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন স্থানীয়রা। সরকারের কোটি কোটি টাকার এই প্রকল্প সম্পুর্ন ভেস্তে গেছে। অভিযোগ রয়েছে, মানসম্মত লাইট পোষ্ট স্থাপন না করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হযেছে। সরেজমিনে অনুসন্ধানে দেখা যায়, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া সেতুসহ হাটবাজারগুলোতে অধিকাংশ সৌরবাতি অকেজো হয়ে গেছে। সৌরবাতির খুঁটিগুলো ঠায় দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু আলো নেই।

বড় আলমপুর ইউনিয়নের সন্যাসীর বাজার এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সামাদ জানান, নিম্নমানের উপকরণ দেয়ায় সড়ক বাতিগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। এই বাজারে ২ বছর আগে ৩টি লাইট স্থাপন করা হয়েছে। এক বছর আলো জ্বলেছে। তার পর থেকে এখন পর্যন্ত আলো বন্ধ হয়ে রয়েছে। হাটবাজারের লাইটগুলো দ্রুত মেরামত করা দরকার বলে তিনি জানান।

এ সম্পর্কে কয়েকজন চেয়ারম্যানের সাথে কথা হলে তারা বলেন, সোলার প্যানেলে গুরুত্বপূর্ণ ল্যাম্পপোস্টগুলো মাঝে মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায়। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তরে জানানো হলে ঠিকাদারের লোকজন এসে মেরামত করে দেয়। কিন্ত কয়েক দিন পর আবারও নষ্ট হয়ে যায়। এ বিষয়ে আভা ডিপার্টমেন্ট সোসাইটি প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার অমল চন্দ্র বলেন, সার্ভিস ওয়ারেন্টির মধ্যে লাইটে কোনো ত্রুটি দেখা দিলে আমরা তা ঠিক করে দিই।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সোলার প্যানেল প্রকল্পের বরাদ্দ আর নেই। সোলার স্ট্রিট লাইটের ৩ বছর ওয়ারেন্টি ছিল। বর্তমানে অনেক লাইটের ওয়ারেন্টি শেষ হয়েছে। মাঠপর্যায়ে জরিপের কাজ চলছে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে নষ্ট সৌরবাতিগুলো শীঘ্রই মেরামত করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়