• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২৮-১০-২০২২, সময়ঃ সকাল ০৯:৫৪

ফুলছড়িতে কষ্টের ঘরটিও পুড়ে ছাই

ফুলছড়িতে কষ্টের ঘরটিও পুড়ে ছাই

ফুলছড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি ►

কষ্টের উপার্জনের একমাত্র টিনের ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুড়েছে জীবন্ত ৫টি ছাগল, হাঁস-মুরগী। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে নীলকুটি আর্দশ গ্রামে।

নদীভাঙন কবলিত ও গৃহহীন পরিবার হিসেবে সরকারিভাবে গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের  নীলকুঠি আর্দশ গ্রামে ঘর বরাদ্দ পান বিধবা মায়া রানী। আর্দশ গ্রামের বাড়ির আঙিনায় সবজি চাষও শুরু করেন মায়া রানী। এক মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে বসবাস করার পাশাপাশি পুরাতন ফুলছড়ি উপজেলা চত্ত¡রে পান, বিড়ি, সিগারেট ব্যবসা শুরু করেন।

ব্যবসার আয়ের টাকা জমিয়ে কষ্ট করে একটি টিনশেট ঘর নির্মাণ করে। টিনশেট ঘরে সংসারের যাবতীয় জিনিসপত্র রাখা ছিল। ঘটনার দিন তারা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে থাকাকালিন বাড়িতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। সেখান থেকে আসতে আসতে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

ভূক্তভোগী পরিবার ও এলাকা সুত্রে জানা গেছে, টিনশেট ঘরটি ফাঁকা স্থানে হওয়ায় পাশ্ববর্তী পরিবারের ঘরগুলো আগুনের হাত থেকে রেহাই পেয়েছে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে স্থানীয় এলাকাবাসী প্রায় ঘন্টা ব্যাপী প্রানপন চেষ্ঠা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। কিন্তু তাৎক্ষনিক ঘরের আসবাবপত্র থেকে শুরু করে থালাবাসুন, লেবতসুক, ছাগল, হাঁস-মুরগী পুরে ছাই হয়ে যায়।
ভূক্তভোগী মায়া রানী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আগুন আমাদের সব শেষ করে দিয়েছে। আমরা এখন কিভাবে বাঁচবো। গজারিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জিহাদুল ইসলাম মওলা বলেন, আগুনে তাদের প্রায় লক্ষাধীক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়