ফুলছড়ি প্রতিনিধি ►
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে হরিজন সম্প্রদায়ের প্রতিবন্ধী এক যুবতীকে (২৭) ধর্ষণের পর গর্ভপাত ঘটনোর অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশি যুবক ময়নাল হকের বিরুদ্ধে। এবিষয়ে ফুলছড়ি থানায় মামলা দায়ের পর অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান থানা পুলিশ।
উপজেলার উদাখালী ইউনিয়নের উত্তর কাঠুর মাছের ভিটা গ্রামে ভিকটিমের বাড়ি। স্বজনরা জানায়, নির্যাতিতা ও তার মা দু’জনে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এবং ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করে। দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত জয়েন উদ্দিন মুন্সির পুত্র বখাটে ময়নাল হক প্রতিবন্ধী ওই যুবতীর বাড়িতে যাতায়াত এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ করতো। একপর্যায়ে ওই প্রতিবন্ধীর শারীরিব পরিবর্তন ঘটলে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার বিষয়টি জানাজানি হয়।
অভিযুক্ত ময়নাল হক ও তার স্ত্রী মোছা: সামিনা খাতুন গত ৪ অক্টোবর সুকৌশলে গাইবান্ধায় নির্যাতিতাকে নিয়ে গিয়ে ওষুধ সেবনের মাধ্যমে গর্ভপাত ঘটনো হয় এবং বিকেলে বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে তার বাড়িতে রেখে যায়। রাত ৮টার দিকে ওই প্রতিবন্ধী শারীরিক অসুস্থ্যতা ও রক্তক্ষরণ শুরু হলে ময়নালকে বিষয়টি জানানো হয়। রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় ভিকটিমকে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে ময়নাল ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
গাইবান্ধা জেলা হাসপাতাল আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ তানভির রহমান কল্লোল জানায়, গর্ভপাতের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের কারণে তাকে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় প্রতিবন্ধীর মামা বাদি হয়ে গত ৮ অক্টোবর ফুলছড়ি থানায় ময়নাল হক (৫০) ও তার স্ত্রী মোছা: সামিনা খাতুন (৪৫)সহ অজ্ঞাতনাম ৪/৫ জনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
এ প্রসঙ্গে ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কাওছার আলী বলেন, নির্যাতিতার মামা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে। আসামিকে দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।