• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৪-১২-২০২২, সময়ঃ বিকাল ০৩:২৫

ফোরলেন রাস্তা হলেও যানজটের কবলে গাইবান্ধা শহরবাসী

ফোরলেন রাস্তা হলেও যানজটের কবলে গাইবান্ধা শহরবাসী

ভবতোষ রায় মনা ►

দুই লেনের ডিবি রোড ফোরলেন রাস্তা হলেও যানজটের কবলে গাইবান্ধা শহরবাসী। প্রতিনিয়ত তীব্র যানজটের কবলে পড়ছে শহরের বাসিন্দাসহ পথচারীরা। শহরে প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য ডিবি রোডের বিকল্প হিসেবে আর কোনো রাস্তা না থাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষ করে রেলগেট এলাকায় ফোরলেনের কাজ আটকে থাকায় পুরোপুরি ফোরলেনের সুফল নিতে পারছে না শহরবাসী।

জানা গেছে, শহরের প্রবেশদ্বার ডিসি অফিস থেকে শুরু করে বাসস্ট্যান্ড, ডিবি রোড, ১ নম্বর রেলগেট ও সার্কুলার রোড হয়ে পুরাতন জেলখানা মোড় পর্যন্ত সব জায়গায় সারাদিন যানজট লেগে থাকে। কোনো বাইপাস সড়ক না থাকায় শহরের মাঝখান দিয়ে যাওয়া একটিমাত্র সড়কেই চলছে রিকশাভ্যান, অটোরিকশা, বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন। শুধু তাই নয়, রাস্তার পাশেই রাখা হচ্ছে রিকশাভ্যান, অটোরিকশা। আবার ফুটপাত দখল করেছে অনেকেই।

ডেভিট কোম্পানিপাড়ার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অটোরিকশাগুলো যেখানে-সেখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামা করার কারণেই যানজট লেগে থাকে। পুরাতন বাজারের ব্যবসায়ী তাজুল ইসলাম জানান, পুরাতন ব্রিজ ও কাচারি বাজার মসজিদের সামনে অটোরিকশা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকে। সেখানে অটোরিকশা দাঁড়িয়ে না দিলেই শহরের যানজট অনেকটা কমে যাবে। রনি মিয়া নামের এক পথচারী বলেন, দিনের বেলা শহরের মধ্যে মালামাল লোড-আনলোড এবং ট্রাক শহওে প্রবেশ করতে না দিলেই অনেকাংশে যানজট কমে যাবে।

এ বিষয়ে জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (প্রশাসন) নুর আলম সিদ্দিক বলেন, শহরের যানজটের মূল কারণ অটোরিকশা। তা নিরসনে পরিকল্পনা করতে পৌরসভা থেকে কতগুলো রিকশাকে লাইসেন্স দেওয়া আছে তার তালিকা চেয়ে বারবার আবেদন করা হয়েছে। এই হিসাব এখনো পাওয়া যায়নি। অদক্ষ চালক ও অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ না করলে যানজটের ভোগান্তি কমানো সম্ভব নয়।

গাইবান্ধা পৌরসভার মেয়র মো. মতলুবর রহমান বলেন, পৌরসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যানজট নিরসনে পুরাতন ব্রিজ, কাচারি বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে পৌরসভার কর্মচারীরা কাজ করবেন। শহরের কয়েকটি স্থানে অটোরিকশার স্ট্যান্ড তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে।

জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফিরোজ আখতার বলেন, ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে আড়াই কিলোমিটার রাস্তার কাজ করা হয়েছে। তবে শহরের রেলগেটের দুই পাশের কাজ এখন সম্পূর্ণ হয়নি। রেল কর্তৃপক্ষ জায়গা না দেওয়ায় ওই অংশের কাজ শেষ করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরও জানান, গাইবান্ধা পৌর শহরে প্রায় চার হাজার গাড়ি চলাচল করতে পারবে। এর চেয়ে বেশি চলাচল করলে যানজট লাগবে।
 

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়