• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৩-১১-২০২২, সময়ঃ দুপুর ০১:৩৭

শীতের উঞ্চতা পেতে গাইবান্ধায় লেপ তৈরির ধুম

শীতের উঞ্চতা পেতে গাইবান্ধায় লেপ তৈরির ধুম

ভবতোষ রায় মনা  ►

শীতের আগমনে গাইবান্ধায় ধুম পড়েছে লেপ-তোষক তৈরির দোকানগুলোতে। তাইতো এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন ধুনকারসহ লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা। শীতের উঞ্চতা পেতে মানুষেও ভিড় জমাচ্ছেন লেপ-তোষকের দোকানে। 

শীতের আগমনী বার্তায় শহরের কাচারী বাজারের পুরাতন জজ কোর্ট চত্বরে ধুম পড়েছে লেপ-তোষক তৈরির। প্রতিটি দোকানে এখন প্রতিদিন ১৫/২০টি লেপ-তোষক তৈরি হচ্ছে। তবে এবছর তুলার দাম বৃদ্ধি অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। কাপাশ তুলা দিয়ে লেপ বানাতে খরচ পড়ছে ১৪০০-১৫০০ টাকা, তার চেয়ে ভালমানের লেপ তৈরি করতে খরচ পড়ছে ১৮০০-১৯০০ টাকা। সেই সাথে গজ প্রতি ৬/৭ টাকা কাপড়ের দামও বেড়ে গেছে। শীতের তীব্রতা বাড়লে লেপ-তোষক তৈরি ও বিক্রি আরও বাড়বে এমনটিই প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের। তবে লেপের কাপড়, ফোম ও মজুরি গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

পুরাতন জজ কোর্ট চত্বরের লেপ-তোষকের ব্যবসায়ী জলিল মিয়া বলেন, কাপাশ তুলা ১৪০ টাকা কেজি ও শিমুল তুলা ৩০০ টাকা। গত বছরের তুলনায় এ বছর দাম একটু বেশি। শীতের সময় দাম আরও বাড়তে পারে, বিক্রি বেশি হবে।

লেপ তৈরির কারিগর আশরাফ মিয়া জানান, ৪-৫ হাত লেপ তৈরি করতে খরচ পড়ে ১২শ‘ টাকা, ১২০ কেজি দরের তুলা দিয়ে সাড়ে ৪ সাড়ে ৫ সাইজের লেপ খরচ পড়ে ১৬শ‘ টাকা ৩০ টাকা কেজি দরের তুলা দিয়ে খরচ পড়ে ৯শ‘ টাকা। লেপ তৈরির কারিগর মো: আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২৯ বছর ধরে এ কাজের সাথে জড়িত আছি। প্রতিদিন ৪ থেকে ৫টি কাজ হয়।

সব জিনিসের দাম বাড়লেও আমরা মজুরি সে হিসেবে পাচ্ছি না। ক্রেতা আজিজার রহমান বলেন, কাপড়ের দামও বেশি, তুলার দামেও বেশি, সেলাইয়ের দামও বেশি। এখনতো না বানালেও হয় না। শীতের মধ্যে গায়েতো দেওয়ার নাগবে। দুইটার জায়গায় একটা বানে নিলাম।

গাইবান্ধা ধুনকর শ্রমিক ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক মো. তাজুল ইসলাম তাজু বলেন, আমাদের এখানে ৯০ জন লোক কাজ করে। দীর্ঘসময় কাজ করে আসছি, আমাদের সব প্রথম সমস্যা হচ্ছে আমাদের কাজের জায়গা নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়