• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২৬-১০-২০২২, সময়ঃ বিকাল ০৫:০৯

সৈয়দপুরে মাইক্রোবাসে পিষ্ট হয়ে স্কুলছাত্র নিহত

সৈয়দপুরে মাইক্রোবাসে পিষ্ট হয়ে স্কুলছাত্র নিহত

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: ►

নীলফামারীর সৈয়দপুরে মাইক্রোবাস চাপায় প্রান হারালো তারিকুল ইসলাম (১৩) নামে এক স্কুল ছাত্র। বুূধবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় উপজেলার খাতামধুপুর ইউনিয়নের হামুরহাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত কিশোরটি ওই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের  রথেরপুকুর খামাতপাড়ার জোবেদুল ইসলামের ছেলে এবং তারাগঞ্জের হ্যাভেন ফ্লাওয়ার স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। 

নিহত তারিকুল সকাল ১০ টায় তারাগঞ্জ বাজার থেকে প্রাইভেট পড়ে মোটর সাইকেল নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে হামুর বাজারের উত্তর পার্শ্বে গলাকাটা ব্রীজের কাছে পৌঁছে। এসময় 

বিপরীত দিক থেকে আসা তারাগঞ্জগামী একটি মাইক্রোবাসের (ঢাকা- মেট্রো-চ-৫৩২৮৩১) সামনে পড়লে মুখোমুখি ধাক্কা লেগে পড়ে যায়।  তাকে চাপা দিয়ে পালিয়ে চালক।

এলাকাবাসীর মতে গ্রামের লোকাল রাস্তায় মোটরযান চালানোয় বেপরোয়া গতির কারণেই এই দূর্ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া মাইক্রোবাসের ড্রাইভার ফরতাজ (২৫) এর ভাতিজা সোহেল (১৩) গাড়ী চালাচ্ছিল আর চালক পাশে বসা ছিল। যে কারনে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরণ করেন তারিকুল।

তারা আরোও জানায়, এর আগেও ৪-৫ বার দূর্ঘটনা ঘটিয়েছে চালক ফরতাজ। তারপরও গাড়ীর মালিক জুয়েল রানা তাকে গাড়ী চালানোর অনুমতি দেয়। অথচ সে ব্যস্ততম এই সড়কে ভাতিজা সোকে ড্রাইভিং শেখাচ্ছিল। ঘটনার পর হামুরহাটে লোকজন মাইক্রোবাস আটল করলেও থেকে তারা পলাতক রয়েছে। 

তারিকুলের মামা ছামেদুল ইসলাম বলেন, আমার স্কুল পড়ুয়া ভাগিনাকে পরিকল্পিত ভাবে ঘাতক ড্রাইভার ফরতাজ মেরে ফেলেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই। এবিষয়ে নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হয়। কিন্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশের মধ্যস্থতায় লাশ দাফনের সিদ্ধান্ত হয়। 

দীর্ঘ ৫: ঘন্টা লাশ প্রখর রোদে রাস্তায় ফেলে রেখে অবশেষ এক লাখ টাকার বিনিময়ে লাশ হস্তান্তরের সমঝোতা হয়েছে। একারনে মাইক্রোবাসটি আটক রাখা হয়েছে। টাকা পরিশোধের পর তা ছাড়া হবে। একটি সূত্রের মতে নিহতের পরিবার কোন টাকাই নিবেনা। একটি চক্র এই টাকা হাতিয়ে নিতে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের ব্যবহার করেছে।

খাতামধুপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মাসুদ রানা পাইলট ও সাবেক চেয়ারম্যান জুয়েল চৌধুরী কেউই এব্যাপারে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তারা বলেন, সবাই একই এলাকার। দূর্ঘটনায় একজন চলে গেছে। এখন আইন আদালত করলে আরও দুইজনের জীবন ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই উভয় পরিবার নিজেরাই সমঝোতা করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়