Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৬-১২-২০২২, সময়ঃ বিকাল ০৪:০৪

২০ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা নড়েবড়ে বাঁশের সাঁকো 

২০ গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা নড়েবড়ে বাঁশের সাঁকো 

পলাশবাড়ী সংবাদদাতা ►

পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সীমানা দিয়ে বয়ে যাওয়া জাফর গ্রাম সংলগ্ন মচ্চ নদী আমবাগান ঘাটে একটি ব্রীজ অভাবে ২০ গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো।ব্রীজ অভাবে স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছাত্রছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশা মানুষেরভোগান্তি।এলাকাবাসীর দাবী একটি দ্রুত ব্রীজ নির্মাণ হলে স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াত,কৃষকদের ফসল,অসুস্থ্য রোগীদের যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হবে না।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের সীমানা দিয়ে ঘেঁষে যাওয়া প্রায় ৫০-৬০ বছরের পুরানো এই আমবাগান মচ্চ নদীর ঘাটটি। দীর্ঘ প্রায় ৬০ বছরের পুরানো ঘাট দিয়ে উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের জাফর,মুংলিশপুর,পালপাড়া,শীলপাড়া,গনকপাড়া,হাসানখোর,রামচন্দ্রপুর,জাইতরসহ অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ ওপারে হোসেনপুর ইউনিয়নসহ দুর-দুরান্ত বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ চলাচল করে থাকে।

ভোগান্তির যেন শেষ নেই দৈনন্দিন যাতায়াত করা স্কুল,কলেজ পড়ুয়া ছাত্র/ছাত্রী,ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশা মানুষের।দীর্ঘ স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পেড়িয়ে গেলেও সময়ের ব্যবধানে আজও উন্নয়নের পরিবর্তন হয়নি ২০ গ্রামবাসীর পারাপারের একমাত্র আমবাগান মচ্চ নদীর ঘাটটি।এ ভোগান্তি চলে আসছে পথচারীদের বছরের পর বছর। শুকনা বা খড়া মৌসুমে চলাচলের জন্য গ্রামবাসীদের তৈরি করা বাঁশের সাঁকো দিয়ে ব্যস্ততম এই ঘাট দিয়ে দৈনন্দিন ছাত্র/ছাত্রী,ব্যবসায়ী,চাকুরীজীবি এনজিও কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশা মানুষের পারাপারের হয়ে থাকে এবং বর্ষা মৌসুমে তাদের একমাত্র ভরসা নৌকা ।যাতায়াতের জন্য বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় এই ঘাটে গ্রামবাসীদের তৈরি করা বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত অসংখ্য ছাত্রছাত্রীরা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষা লাভের আশায় পাশ্ববর্তী ঘোড়াঘাট উপজেলার শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করতে দেখা যায়।যানবাহন তো দুরের কথা পায়ে হেঁটে চলাচল করতে হয় পথচারীদের। হঠাৎ কোন রোগী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তার জীবন নির্ভর করে সময়ের উপর। এছাড়াও এই ঘাট দিয়ে বাইসাইকেল, মোটর সাইকেল, অটো-চালিত ভ্যান, মাল বোঝাই ভ্যানসহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য কৃষকরা তাদের ফসল বিক্রয়ের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে বৃহত্তর হাটবাজারগুলোতে যাতায়াত করে থাকেন।আর বর্ষা মৌসুমে ভরা নদীর অথৈয় পানিতে নৌকা পারাপারে দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে যায়।একটি সেতু অভাবে যুগ যুগ ধরে চলে আসছে এ ভোগান্তি। সাধারণ মানুষের দাবী এই গুরুত্বপুর্ণ স্থানে মচ্চ নদীর আমবাগান ঘাটে ব্রীজ নির্মাণ হলে অল্প সময়ে পলাশবাড়ী-ঘোড়াঘাটসহ  যাতায়াত ব্যবস্থা অত্যন্ত সহজ হবে।

ওই এলাকার কৃষক আঃ রশিদ মিয়া,সমাজসেবক খলিলুর রহমান,মুছা মিয়া জানান,এই সকল গ্রামের মানুষজন খড়া বা বর্ষা যাই বলি ঘাটটি দিয়ে পারাপারের জন্য অনেক সমস্যা পোহাতে হয়।সেতু হলে আর সমস্যা থাকবেনা। প্রশাসনসহ উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের দ্রুত কাছে একটি সেতু নির্মানের সুদৃষ্টি কামনা করেন।  

পলাশবাড়ী উপজেলার মুংলিশপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তোতা মিয়া জানান,আমরা এই ঘাট দিয়ে হাট বাজার করে থাকি।এই ঘাটটি দিয়ে চলাচলে আমাদের দূর্ভোগ পোহাতে হয়।

পলাশবাড়ী উপজেলার জাফর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান,আমি এই ঘাটটি দিয়ে বিদ্যালয়ে  
চলাচল করি।বর্ষা ও শুকনা মৌসুম যাতায়াতে সমস্যায় পড়ি।এখানে একটি ব্রীজ নির্মান জরুরী ভাবে প্রয়োজন।

কিশোরগাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান অবু বক্কর সিদ্দিক জানান,ব্রীজটি নির্মাণ হলে ওই গ্রামের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া,মানুষজনের ব্যবসা বাণিজ্যসহ কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রসার ঘটবে।কর্তৃপক্ষ সুদৃষ্টি কামনা করছি।

পলাশবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী শাহরিয়ার জানান,ওই জায়গায় ব্রীজের প্রস্তাবনা অনুমোদন হয়েছে এবং সয়েল টেস্ট পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুজ্জামান নয়ন জানান,এটি একটি গুরুত্বপূর্ন একটি ঘাট।এটি প্রকল্পে অর্ন্তভুক্ত হয়েছে ওখানে ব্রীজ নির্মাণ হবে।
 

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad