Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • ১২ ঘন্টা আগে
  • ৩৫ বার দেখা হয়েছে

গোবিন্দগঞ্জে লাম্পি স্কিনের বিস্তারে দিশেহারা কৃষকেরা

গোবিন্দগঞ্জে লাম্পি স্কিনের বিস্তারে দিশেহারা কৃষকেরা

গোপাল মোহন্ত, গোবিন্দগঞ্জ►

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পি ভাইরাস রোগ। মারাত্মক এ রোগ গরু থেকে গরুতে ছড়িয়ে পড়ছে। কৃষক ও খামারীরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করলেও এ রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক গরুর মৃত্যু ঘটছে। সরকারিভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা পেলেও এ সংক্রান্ত কোনো ওষুধ উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিস থেকে সরবরাহের ব্যবস্থা না থাকায় অর্থাভাবে সুষ্ঠু চিকিৎসা দিতে না পারায় মারা যাচ্ছে গরু। তবে উপজেলা প্রাণীসম্পদক কর্মকর্তা বলছেন লাম্পি রোগে গরুর মৃত্যুর হার চার শতাংশ । এই সম্পর্কে মাঠ পর্যায়ে রোগ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

উপজেলার ১৭ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাস রোগ দেখা দিয়েছে। এক গরু থেকে অন্য গরুতে ছড়িয়ে পড়ায় প্রতি নিয়ত লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাস রোগ মহামারি আকার ধারণ করতে যাচ্ছে। এতে করে প্রতিনিয়ত লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগে আক্রান্ত গরুর সংখ্য বাড়ছে। মারাত্মক ভাবে গরুর এ রোগ দেখা দেওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছে কৃষক ও খামারী।

গবাদী পশুর মালিক দরবস্ত ইউনিয়নের গোশাইপুর গ্রামের জাকির হোসেন জানান, ভাইরাসজনিত এ রোগে আক্রান্ত গরুর প্রথমে জ্বর, ব্যথা, খাবার গ্রহণে অরুচি দেখা দেয়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গোলাকার গুটি গুটি বা ফোস্কা ওঠে, পায়ে, গলায় এবং শরীরের নিম্নাংশে ফুলে পানি জমে, এক পর্যায়ে গুটি বা ফোস্কা ফেটে গিয়ে ক্ষত সৃষ্টি হচ্ছে। তিনি বলেন, কৃষকরা স্থানীয়ভাবে  আক্রান্ত গরুর চিকিৎসা করলেও সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় আনেক গরুর মৃত্যু ঘটছে। মহামারী আকারে এ রোগ ছড়িয়ে পরলেও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের প্রয়োজনিয় পরামর্শ ও চিকিৎসা সেবা না পাওয়া অভিযোগ আক্রান্ত গরুর মালিকদের।

সাপমারা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ গ্রামের  মিঠু মোহন্ত বলেন, লাম্পি রোগে আক্রান্ত হয়ে এই গ্রামে আরো ১০টি গরু মারা গেছে। এর মধ্যে তারও একটি গাভী রয়েছে। এখন তার একটি আক্রান্ত গরুর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেটি অনেকটা সুবিধা হয়েছে। 

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেনারি হাসপাতালের  উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, ভেটেনারি সার্জন, ডাঃ আদুস সামাদ বলেন, গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ একটি ভাইরাস জনিত রোগ। এ রোগে গরুর মৃত্যুর হার ৪ ভাগ। রক্ত চোষা আঠালী, মাইট, মশা ও মাছির মাধ্যমে রোগটি দ্রুত ছড়ায় তাই এ ব্যপারে গরুর মলিক ও খামারীদের পরামর্শ ও আক্রান্ত গরুকে প্রয়োজনিয় চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে । এছাড়াও রোগ আক্রান্ত পশুর চিকিৎসা নিতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের ডাক্তারদের সাথে যোগাযোগ ও প্রয়োজনে প্রাণিসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতালেও  চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে

জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর সুত্রে জানা গেছে জেলায় প্রায় ১৫ লক্ষ ৩০ হাজার ২০৩ টি গরু রয়েছে। এছাড়াও ১৫ হাজার দুগ্ধজাত ও ১১হাজার ২৭০টি মোটাতাজা করণ গরুর খামার আছে। জেলা প্রাণিসম্পদের তথ্য অনুযায়ি লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগ আক্রান্ত ২হাজার টি গরুকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এসব গরুর রোগ নিমূলে সুচিকিৎসায় প্রাণিসম্পদ বিভাগ অন্তরিক হবে এবং দ্রুত প্রয়োজনিয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এমনটি দাবি কৃষক ও খামারিদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad