Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ২-৬-২০২৫, সময়ঃ সকাল ১০:২৪
  • ১৯ বার দেখা হয়েছে

আজ ৫৪তম বাজেট পেশ করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার

আজ ৫৪তম বাজেট পেশ করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার

মাধুকর ডেস্ক►

বাংলাদেশের ৫৪তম বাজেট পেশ করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ (সোমবার, ২ জুন) পেশ হতে যাওয়া বাজেটের সম্ভাব্য আকার সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। পতিত আওয়ামী সরকারের সবশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট থেকে এবার সাত হাজার কোটি টাকা কম ধরা হয়েছে। 

সরকার বলছে, উচ্চ আকাঙ্ক্ষা বা লুটপাটের উন্নয়নে ব্যয় না করে প্রয়োজনীয় বাজেট নেয়া হচ্ছে। এবার ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে জাতীয় সংসদ না থাকায় বিটিভিতে বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থ উপদেষ্টা।

বাজেট পেশ করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। যার সম্ভাব্য আকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। পতিত আওয়ামী সরকারের সবশেষ ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট থেকে এবার ৭ হাজার কোটি টাকা কম ধরা হয়েছে। সরকার বলছে, উচ্চ আকাঙ্ক্ষা বা লুটপাটের উন্নয়নে ব্যয় না করে প্রয়োজনীয় বাজেট নেয়া হচ্ছে।

১৬ বছরে প্রতি অর্থবছরে বাজেটের আকার বাড়লেও দেশের অর্থনীতি কয়েক বছর ধরেই মন্দা সময় পার করেছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। ডলার সংকট, রিজার্ভের বড় ক্ষয়সহ বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও বড় বিপদে ছিল বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার বাজেট সবশেষ প্রায় আট লাখ কোটি টাকায় নিয়ে গেছে আওয়ামী সরকার। ২০০৮-০৯ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত বাজেট বাস্তবায়নের গড় হার ছিল ৮৬ শতাংশ। অর্থাৎ অর্থবছরের শুরুতে যে বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল, বছর শেষে এর ১৪-১৫ শতাংশ অবাস্তবায়িত থেকে গেছে। পরে এ অবাস্তবায়িত বাজেটের অংশ বছর বছর আরো বড় হয়েছে।

অর্থনীতির কোনো সূত্র না মেনেই প্রতি বছর বাজেটের আকার বাড়িয়েছে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার। ক্ষমতায় থেকে সহযোগীদের নিয়ে প্রায় ৩০ লাখ কোটি টাকা আত্মসাৎ, লুটপাট আর পাচারের তথ্য পেয়েছে শ্বেতপত্র কমিটি। ফলে ৫ আগস্ট হাসিনার পতনের পর অলীক ও অবাস্তবায়নযোগ্য বাজেট কমিয়ে আনা হয়েছে ৭ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকায়। সেসময় বাজেটের আকার দ্বিগুণ বা তিনগুণ হলেও আনুপাতিক হারে বরাদ্দ কমেছে জনগুরুত্বপূর্ণ খাত স্বাস্থ্য ও শিক্ষায়। বিপরীতে বেড়েছে দেশি-বিদেশি ঋণের পরিমাণ।

এবার ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে জাতীয় সংসদ না থাকায় বিটিভিতে বিকেল ৩টায় বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থ উপদেষ্টা। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। সম্ভাব্য বাজেটে ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংক খাতের পাশাপাশি দেশি-বিদেশি উৎস থেকে ঋণ নিয়ে এ ঘাটতি পূরণ করবে অন্তর্বর্তী সরকার।

আগামী অর্থবছরের সম্ভাব্য বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে চলতি অর্থবছরে থেকে ৩৫ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। আর ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে পরিচালন ও নন-এডিপিখাতে।

রাষ্ট্রের নাগরিকদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, সুরক্ষা, মৌলিক সেবার নিশ্চয়তা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সর্বোপরি বৈষম্য দূর করা ও জনকল্যাণমুখী বাজেট পেশের লক্ষ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিগত সময়ে শুধু প্রস্তাবানায় এসব কথা থাকলেও আগামী বাজেটে তা বাস্তবায়ন হওয়ার প্রত্যাশা রয়েছে।

নতুন অর্থবছরে এডিপি সম্ভাব্য বাজেটে পাঁচ খাতেই যাচ্ছে মোট বরাদ্দের ৬৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এরমধ্যে অন্যতম অবকাঠামো উন্নয়ন, পরিবহন ও যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, শিক্ষা, গৃহায়ন ও কমিউনিটি ও স্বাস্থ্য। আর সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে ১০ মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। আগামী অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দসহ মোট প্রকল্প রয়েছে ১ হাজার ১৪৩টি। ইতোমধ্যে ব্যয় হওয়ায় বিগত সরকারের সময়ে নেয়া অতিমুল্যায়িত অনেক প্রকল্পেও সম্ভাব্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

এবারের বাজেট ৫৪তম। ব্যক্তি ও রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষার বাইরে এ বাজেট পেশ করা হবে। যেখানে যাদের ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে সেই জুলাই আগস্ট বিপ্লবের শহীদ ও আহতদের জন্য বরাদ্দ রাখার কথা রয়েছে। এদেরসহ বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্তদের করমুক্ত আয়সীমা রাখা হতে পারে ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad