তিস্তা আকন্দ, সুন্দরগঞ্জ►
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় বিএনপি নেতা ইলিয়াস মিয়া হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রসহ স্বপ্না বেগম নামে এক নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এ মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হলো দু’জন।
গ্রেপ্তার স্বপ্না বেগম ইলিয়াস হত্যা মামলার প্রধান আসামি সুমন মিয়ার ভাবী ও নীল মিয়ার স্ত্রী। এর আগে সুমনের পিতা মজিবর মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে মঙ্গলবার (১০ জুন) মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা শামছুল হক সুমন মিয়ার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে স্বপ্না বেগম হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্রগুলো (হাসুয়া) বাড়ির পাশের এক পুকুর থেকে আরেক পুকুরে সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় জনতা তা দেখে ফেলে। পরে ওই নারীর সহায়তায় ৬টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ নারীকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
ঈদের আগের দিন শুক্রবার (৬ জুন) দিবাগত রাতে পূর্ব শক্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর আহত হয় ইলিয়াস। ঈদের দিন শনিবার (৭ জুন) বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া মৃত্যুর পূর্বে আহত ইলিয়াসের বক্তব্য থেকে জানা গেছে, প্রতিবেশি মজিবর মিয়ার ছেলে যুবলীগ নেতা সুমন মিয়া, ডাকুয়ার ছেলে জোবাইয়েরসহ আরও চারজন মিলে লোহার রড় দিয়ে পিঠিয়ে তার হাত ও পা ভেঙে দেয়। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রংপর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার তার মৃত্যু হয়। লাশের ময়না তদন্ত শেষে রোববার পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় ইলিয়াসের সাথে সুমনের বাবা মজিবর মিয়ার বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়। এরই জের ধরে ঘটনার সূত্রপাত ঘটে।
থানার ওসি আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, ঘটনার পর থেকে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসছেন। মৃত্যুর খবরের পর সুমনের পিতা মজিবর মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার ইলিয়াসের স্ত্রী লিপি বেগম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করে। মঙ্গলবার হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দেশীয় আস্ত্রসহ স্বপ্না বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনিয়ে ইলিয়াস হত্যাকান্ডে গ্রেপ্তারের সংখ্যা ২ জন।