Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • ৯ ঘন্টা আগে
  • ৬০ বার দেখা হয়েছে

গোবিন্দগঞ্জে জামায়াতের শ্রমিক নেতাকে খুনের রহস্য উন্মোচন

গোবিন্দগঞ্জে জামায়াতের শ্রমিক নেতাকে খুনের রহস্য উন্মোচন

নিজস্ব প্রতিবেদক►

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ওয়ার্ড সভাপতি নজরুল ইসলাম (৪০) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রিফাত মন্ডল সৌরভ (১৬) নামে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে হত্যায় ব্যবহৃত চাকু এবং নজরুলের ব্যবহৃত দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ (সোমবার, ১৮ আগস্ট) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম তার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

এর আগে, এদিন ভোরে গাইবান্ধা শহরের নিউ মেরিট কেয়ার কোচিং সেন্টারের আবাসিক ভবন থেকে রিফাত মন্ডল সৌরভকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শীতলগ্রাম এলাকায়। তার বাবার নাম সামিউল ইসলাম। সে দশম শ্রেণির ছাত্র।

গত রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে গোবিন্দগঞ্জের নাকাই ইউনিয়নের শীতলগ্রামে নজরুল ইসলামের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নজরুল ইসলাম ওই এলাকার মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি মুদি দোকানে মোবাইল ব্যাংকিং ও ফ্ল্যাক্সিলোডের ব্যবসা করতেন। 

পুলিশ জানায়, নিহত নজরুল ইসলামের সঙ্গে সৌরভের আগে থেকে লেনদেন সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব ছিল। প্রায় দেড় মাস আগে নজরুলের দোকানে চুরির ঘটনায় স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে সৌরভ। তখন তাকে মারধর করা হয় এবং ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরপর থেকেই সে নজরুলের ক্ষতি করার পরিকল্পনা করে।

ঘটনার রাতে রিফাত মোবাইলে নজরুলকে ফোন করে জানায়, তার কাছে বাকি থাকা ১ হাজার ১০০ টাকা পরিশোধ করবে। এরপর দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে নজরুলের সঙ্গে দেখা হয় তার। কথা বলতে বলতে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে রিফাত প্রথমে ক্লোরোফর্ম মেশানো রুমাল মুখে চেপে ধরে। এরপর নজরুল অচেতন হওয়ার পর সৌরভ ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। পরে নিহতের দুটি মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায় সে।

পুলিশ জানায়, হত্যার সময় ব্যবহৃত ছুরি ও নিহতের একটি মোবাইল সে স্থানীয় পুকুরে ফেলে দেয়। আরেকটি মোবাইল গোবিন্দগঞ্জ সরকারি মসজিদ মার্কেটের একটি দোকানের টিনের ছাউনির ওপর রেখে যায়।

এ ঘটনায় গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত কিশোরকে আদালতে সোপর্দ করে তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির জন্য আবেদন করা হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, “তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় খুব অল্প সময়েই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। হত্যার ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

প্রেস ব্রিফিংয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) পবিত্র কুমার, এসআই নজরুল ইসলাম, সেলিম রেজা, তাহসিনুর রহমান, মো. আসাদুজ্জামান ও তফিজ উদ্দিন, এএস আই মো. বদিউজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad