Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • ৭ ঘন্টা আগে
  • ৪১ বার দেখা হয়েছে

ফুলছড়িতে কৃষক-ক্ষেতমজুর সমাবেশ, কৃষি রক্ষায় ১৫ দফা দাবিতে স্মারকলিপি

ফুলছড়িতে কৃষক-ক্ষেতমজুর সমাবেশ, কৃষি রক্ষায় ১৫ দফা দাবিতে স্মারকলিপি

আমিনুল হক, ফুলছড়ি►

গাইবান্ধার ফুলছড়িতে কৃষির সার্বিক উন্নয়ন ও কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে কৃষক ও ক্ষেতমজুররা। সমাবেশ শেষে উপজেলা কৃষি অফিসারের কাছে ১৫ দফা দাবি সংবলিত একটি স্মারকলিপি পেশ করা হয়।

​রোববার সকাল ১০টায় উপজেলার কালিরবাজার বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে অংশ নেওয়া কৃষক ও ক্ষেতমজুররা বিভিন্ন স্লোগান দেন।

​বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির ফুলছড়ি উপজেলা শাখার সভাপতি খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে নেতারা বলেন, কৃষকরাই দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি হলেও স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও তাদের স্বার্থ রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলস্বরূপ, দেশে ভূমিহীনের সংখ্যা বেড়ে ৮২ শতাংশে পৌঁছেছে, যা এখন জাতীয় সংকটে পরিণত হয়েছে। বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। তাই কৃষি ও কৃষকের স্বার্থ রক্ষায় সরকারকে অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তারা।

​সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) গাইবান্ধা জেলা সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল, কৃষক নেতা রেবতী বর্মন, ক্ষেতমজুর সমিতির জেলা সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক মিলন, কৃষক সমিতির উপজেলা সভাপতি আব্দুর রউফ, ক্ষেতমজুর সমিতির উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সরকার, সিপিবির উপজেলা শাখার সম্পাদক রানু সরকার, কৃষক সমিতির উপজেলা সাধারণ সম্পাদক উত্তম বর্মন, প্রতিবন্ধী সংগঠনের জেলা সভাপতি শহিদুল ইসলাম প্রমুখ। 

​সমাবেশ শেষে কৃষক ও ক্ষেতমজুরদের পক্ষ থেকে উপজেলা কৃষি অফিসার মিন্টু মিয়ার কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিতে উত্থাপিত প্রধান দাবিগুলো হলো- কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য যথাসময়ে পর্যাপ্ত সার, বীজ, সেচ ও কীটনাশক সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।  সার বিক্রয়ে রশিদ পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করে কালোবাজারি ও অনিয়ম বন্ধ করতে হবে। কৃষকদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সারাদেশে সরকারকে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ৫০ লাখ মেট্রিক টন ধান ক্রয় করতে হবে। কৃষি প্রণোদনা বাড়াতে হবে এবং অনিয়ম-দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে, যাতে প্রকৃত কৃষক এর সুফল পান। ওয়ার্ড পর্যায়ের কৃষি উপ-সহকারীদের কার্যক্রম তদারকি জোরদার করতে হবে। উপজেলার ওয়াপদা বাঁধে রতনপুর রেগুলেটর নির্মাণ, উদাখালী খাল সংস্কার করে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবি জানানো হয়।

​এসময় কৃষক নেতারা মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবি জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad