Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • ২ ঘন্টা আগে
  • ৩৩ বার দেখা হয়েছে

সাদুল্লাপুরে স্কুল শিক্ষিকার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

সাদুল্লাপুরে স্কুল শিক্ষিকার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

তাজুল ইসলাম রেজা, সাদুল্লাপুর►

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার কামারপাড়ার কেশালীডাঙ্গা কেএন উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা নাহার বানু সুলতানার বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়া এ সময় তার বাড়িতে অবস্থানরত এসএম কামরুল হাবিব সুমনক নামে অপর এক শিক্ষককে লাঞ্চিত করাসহ মিথ্যা অপবাদ ছাড়ায়ে অপপ্রচার চালানো হয় বলে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে সাদুল্লাপুর প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন ভুক্তভোগী ওই দুই শিক্ষক অভিযোগ করেন। 

নাহার বানু সুলতানা কামারপাড়া ইউনিয়নের নুরপুর (ফকিরপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা ও এসএম কামরুল হাবিব সুমন উপজেলার জামালপুর মজিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও সাদুল্লাপুর শহরের মাস্টারপাড়ার বাসিন্দা। 

নাহার বানু সুলতানা লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার এক ক্লোজ বান্ধবীর বড় ভাই এসএম কামরুল হাবিব সুমন। সেই সম্পর্কে আমিও তাকে বড় ভাই হিসেবে মেনে চলি। উভয় পরিবারের মধ্যে এই সম্পর্কের সুত্র ধরে আত্মীয়তাও গড়ে উঠে। 

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমার প্রতিবেশী কছির উদ্দিনের ছেলে আজাহারুল ইসলামের সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধ সৃষ্টি হয়। সেই সুত্র ধরে আজাহারুল গংরা আমার সাথে শত্রুতা পোষণ করে আসছেন। 

তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে আমি অসুস্থ হয়ে পড়লে বড়ভাই সুমনকে ফোন করে প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র ও নিত্যপণ্য কিছু জিনিস কিনে আমার বাড়িতে নিয়ে আসতে বলি। বড়ভাই সুমন এসব জিনিসপত্র কিনে আমাদের বাড়িতে আসেন। এর কিছুক্ষণ পর সেই প্রতিপক্ষরা তাদের লোকজন নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে আমার বসতবাড়ির মুলফটকের উপর দিয়ে ভিতর প্রবেশের পর হামলা করে আমাকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টাসহ শ্লীলতাহানি ঘটিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। 

তারা আমার গলা থেকে প্রায় ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও নগদ টাকাসহ ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এসময় বাঁধা দিলে তারা আমাকে ও বড়ভাই সুমনকে অবরুদ্ধ করে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ভিডিও ধারণ করে। পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করে। যা পুর্ব পরিকল্পিতভাবে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। এতে আমার ও সুমন ভাইসহ আমাদের উভয় পরিবারের সুনাম নষ্টসহ মানহানি হয়েছে।

নাহার বানু বলেন, শুধু তাই নয়, বর্তমানে প্রতিপক্ষরা উচ্ছেদ করার পাঁয়তারা চেষ্টায় আমাকে বাড়িতে না উঠার জন্য হুমকি দিচ্ছে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। 

সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজউদ্দিন খন্দকার জানান, এ ঘটনার কেউ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এ নিয়ে আজাহারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষিকা নাহার বানু সুলতানার ছোট ভাই মোঃ ইমরান মিয়া, উপজেলার জামালপুর মজিদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক এসএম কামরুল হাবিব সুমন  প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad