Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • ১৭ ঘন্টা আগে
  • ৩৬ বার দেখা হয়েছে

সুরের মূর্ছনায় মোহনার ১৭৯তম আসর

সুরের মূর্ছনায় মোহনার ১৭৯তম আসর

মোদাচ্ছেরুজ্জামান মিলু►

গাইবান্ধার নিয়মিত মাসিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছে গানপাগল মানুষদের একমাত্র অনুষ্ঠান। সেই ১৯৯৩ সাল থেকে শুরু হওয়া মোহনা কিছু সময়ের বিলম্ব ছাড়া দেখতে দেখতে পার করলো ১৭৯তম আসর। মোহনা যেমন একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের নাম তেমনি মোহনা একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের নাম। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে যারা চলা ফেরা করেন তারা সকলে জানেন যে মোহনার অনুষ্ঠানে গান গাওয়া মানেই গুণী শিল্পীদেরই স্থান হয়। 

এবারে মোহনায় দুইজন নবীন শিল্পী প্রথম গান গেয়ে তারাও গর্বিত হলেন নিঃসন্দেহে। গান গেয়েছেন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার আব্দুল্লাহ আল মূতী লিতু এবং রিংকী চাকী। দুজনেই তাদের সাবলিল কণ্ঠে গান গেয়ে দর্শকদের মনোনিবেশ নিয়ে রাখলেন পাক্কা দুই ঘন্টা। মোহনার এই ১৭৯তম আসর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ২২ নভেম্বর শনিবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধা জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে।

শুরুতে জনপ্রিয় উপস্থাপক শিরিন আকতারের উপস্থাপনায় আমাদের মাঝে থেকে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের যারা না ফেরার দেশে চলে গেছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সকলে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ নিরবতা পালন করেন। মোহনার পক্ষে শিল্পীদের ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা ও লেখক জিয়াউল হক কামাল ও সোনালী ব্যাংকের এজিএম। 

লিতু গাইলেন- আমি যে কে তোমার তুমি তা বুঝে নাও, কি ছিলে আমায়.., ধিক ধিক জ্বালা বুকের মাঝে, এত কি গো দিনরাতে তোমার কথা ভেবে, এই মুখরিত জীবনের চলার পথে, ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা প্রভৃতি গান। এদিকে রিংকী গেয়েছেন-দুটি মন আর নেই দুজনার, এই পৃথিবীর পরে-কত ফুল ফোটে আর ঝরে, আমি রজনীগন্ধ্যা ফুলের মতো, সাগরের তীর থেকে মিষ্টি কিছু হাওয়া এনে, আয়রে মেঘ আয়রে, মনটা যদি খোলা যেত প্রভৃতি গান। 

শিল্পীদের চমৎকার পরিবেশনায় যন্ত্রসংগীত ছিলো যেন সমানে সমান। তবলায় ছিলেন মাহমুদ সাগর মহব্বত, কি বোর্ডে এস এম স্বাধীন, প্যাডে মানিক বর্মন এবং গিটারে তানভীর মাহাতাব। 

অনুষ্ঠান শেষে শিল্পীদের ক্রেস্ট দিয়ে উত্তরীয় পরিয়ে দিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের সাবেক সহকারী পরিচালক এবং সত্তর ও আশির দশকের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী তাহাউজ্জামান বুলু  এবং মোহনার সংগঠক মেজবাউল হক মিঠু।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad