Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • ১৭ ঘন্টা আগে
  • ৫৫ বার দেখা হয়েছে

সুন্দরগঞ্জে হাসকিং চাতাল বন্ধ, ভরসা অটো রাইস মিল

সুন্দরগঞ্জে হাসকিং চাতাল বন্ধ, ভরসা অটো রাইস মিল

তিস্তা আকন্দ, সুন্দরগঞ্জ►

চলতি মৌসুমে গত ২০ নভেম্বর শুরু হয়েছে সরকারিভাবে ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান। মূলধনের অভাব, শ্রমিক সংকট, বরাদ্দ বিভাজনে অনিয়মসহ নানাবিধ কারণে হাসকিং চাতাল ব্যবসা এখন বন্ধ। কৃষক নয়, মধ্যস্বত্বভোগীরা সুকৌশলে হাতিয়ে নিচ্ছে মুনাফা। অটো রাইস মিল এখন চাল সংগ্রহের একমাত্র ভরসা। 

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ১২০টি হাসকিং চাতাল ছিল। প্রায় সবগুলো চাতালে এখন বন্ধ রয়েছে। ৩৫টি হাসকিং চাতালের তালিকা খাদ্য অফিসে থাকলেও সেগুলো চালু আছে কিনা তা জানা নাই খাদ্য অফিসের।  চলতি মৌসুমে চাল সংগ্রহের জন্য একটি অটো মিল এখন  একমাত্র ভরসা। 

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ২০ নভেম্বর হতে আগামি ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান অব্যাহত থাকবে। উপজেলার সুন্দরগঞ্জ ও বামডাঙ্গা খাদ্য গুদামে চাল সংগ্রহের লক্ষামাত্রা ১ হাজার ১১৬ মেট্রিক টন এবং ধানের লক্ষা মাত্রা ২৯৭ মেট্রিক টন। সরকারি ভাবে দাম নির্ধারন করা হয়েছে চালের কেজি ৫০ টাকা এবং ধান ৩৪ টাকা। 

বরাদ্দ না পাওয়ায় দিন দিন ব্যাংকে ঋনের পরিমান বেড়ে যাওয়ায় অনেক চাতাল ব্যবসায়ী দেউলিয়া হয়ে গেছে । সে কারনে হাসকিং চাতাল ব্যবসা এখন বন্ধ হয়ে গেছে বললেন, উপজেলা চাতাল মালিক সমিতির সভাপতি শাহাদৎ হোসেন আনন্দ। তার ভাষ্য বিভাজন বৈষম্যের কারনে ব্যবসায়ীরা চাতাল বন্ধ করে দিয়েছেন।

উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের হক চাল এবং নাজমা চাল কলের মালিক শামসুল হক বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর ধরে তিনি কোন বরাদ্দ পান না। ব্যবসা না থাকায় ব্যাংকে তার ঋনের পরিমান দিন দিন বাড়তে থাকে। সে কারনে তিনি চাতাল বন্ধ করে দিয়েছেন। সব জায়গায় এখন সিন্ডিকেট। হাসকিং চাতাল মালিকরা আর বরাদ্দ পাচ্ছে না। এছাড়া পুঁজি এবং শ্রমিক সংকটের কারনে অনেকে চাতাল বন্ধ করে দিয়েছেন

পাঁচ বছর ধরে চাতালের কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছেন চাতাল শ্রমিক রিনা বেগম। তিনি বলেন, মালিকের ব্যবসা  না থাকায় চাতাল বন্ধ করে দিয়েছেন। সে কারনে চাতালের কাজ ছেড়ে দিয়ে রাজ মিন্ত্রীর জোগালির কাজ করছি।

অনেক চাতাল ব্যবসায়ীর সিসি ঋন এখন বন্ধ রয়েছে বলেন সোনালী ব্যাংক পিএলসি সুন্দরগঞ্জ শাখার ম্যানেজার আব্দুল হাদী। তিনি বলেন অনেক সিসি লোন গ্রাহক দীর্ঘদিন হতে লেনদেন না করায় তাদের ঋন খেলাপি হয়েছে। অনেকের বিরুদ্ধে নোটিশ দেয়া হয়েছে।

অটো রাইস মিল হোপ-এ্যাগ্রো লিমিটেডের পরিচালক নজরুল ইসলাম জানান, হাসকিং চাল কল বা চাতাল মালিকরা এখন চাল খাদ্য গুদামে দিতে পারে না। সে কারণে সরকার অটো রাইস মিলের মাধ্যমে ধান ও চাল সংগ্রহ করে থাকেন। হাসকিং চাতাল মালিকরা এখন পুঁজির অভাবে ব্যবসা করতে পারছেন না।

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক স্বপন কুমার দে জানান, নিয়ম মেনে কৃষকরা ধান দিতে পারেন না। তারপরও সরকার কৃষকদের মাধ্যমে ধান সংগ্রহের চেষ্টা করছে। এখানে মধ্যশর্তাভোগীদের একটা কৌসুল রয়েছে। হাসকিং চাতাল না থাকায় অটো মিলের মাধ্যমে চাল  সংগ্রহ করতে হচ্ছে। 

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad