
নিজস্ব প্রতিবেদক►
চলতি আমন মৌসুমে ধানের ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করে সহজ প্রক্রিয়ায় সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার দাবিতে গাইবান্ধায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর ও কৃষক সংগঠন। এসব কর্মসূচি শেষে এ দাবি জানিয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের মাধ্যমে খাদ্য উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে শহরের এক নম্বর রেলগেট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে আবারও রেলগেটে ফিরে সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, চলতি আমন মৌসুমে ৩৪ টাকা কেজি দরে ধান, ৫০ টাকা কেজি দরে সেদ্ধ চাল ও ৪৯ টাকা কেজি দরে আতপ চালের দাম নির্ধারণ করে তা কিনছে সরকার। এমন সিদ্ধান্ত কৃষকের জন্য লাভজনক নয়। অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয় মাত্র ৫০ হাজার টন ধান কেনার ঘোষণা। চালের তুলনায় সামান্য ধান কেনার এই ঘোষণা কোনভাবেই দেশের কৃষকদের স্বার্থ রক্ষিত হবে না গুটিকয়েক চালকল মালিকের মুনাফা বৃদ্ধি ছাড়া। কৃষক ধান উৎপাদন করে, চাল নয়।

বক্তারা আরও বলেন, হাটে হাটে ক্রয়কেন্দ্র খুলে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনতে হবে। সরকার কখনও তা করেনি। বরং কৃষক খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করতে গেলে আগে আদ্রতার কথা বলে কৃষকের ধান ফেরত দেয়া হত। এখন অনলাইনের মাধ্যমে ধান নেয়ার নিয়ম করায় সাধারণ কৃষক গুদামে ধান বিক্রি করতে পারছে না। এছাড়াও সরকার প্রতি মৌসুমে ধানের যে মূল্য নির্ধারণ করে তা কৃষকের জন্য লাভজনক হয় না। সে কারণেও কৃষক সরকারি গুদামে ধান বিক্রি করতে উৎসাহিত হয় না। এসকল কারণে প্রতি মৌসুমে সরকার নির্ধারিত ধান কিনতে পারে না। কৃষকরাও বঞ্চিত হয়।
বক্তারা অবিলম্বে কেনার প্রক্রিয়া সহজ করে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা এবং চালের দ্বিগুণ পরিমাণ ধান কিনে মিলারদের মাধ্যমে সরকারকে চাল তৈরির দাবি জানান।
সদর উপজেলার সভাপতি গোলাম ছাদেক লেবুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির কমিটির সদস্য ও বাসদ (মার্কসবাদী)’র জেলা আহ্বায়ক আহসানুল হাবিব সাঈদ, কৃষক সংগঠনের সদরের সহ-সভাপতি কাজী আবু রাহেন শফিউল্লা খোকন, সদস্য নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, ডাক্তার আব্দুল জব্বার, পরমানন্দ দাস, রাহেলা খাতুন, আয়নাল হক প্রমুখ।