Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৫-৬-২০২৩, সময়ঃ সন্ধ্যা ০৬:৫২

উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় ছাত্রলীগের সভাপতিকে নির্যাতনের অভিযোগ 

উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় ছাত্রলীগের সভাপতিকে নির্যাতনের অভিযোগ 

নওগাঁ প্রতিনিধি ►

নওগাঁর মান্দায় ১৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে ছাত্রলীগের সভাপতির কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাকরি না দিয়ে উল্টো নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ'লীগের সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব মোল্লা মো. এমদাদুল হকের বিরুদ্ধে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মান্দা উপজেলার মশিদপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর" পদে চাকুরির জন্য গত বছর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। ওই পদে ভারশোঁ ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের মৃত হাতেম আলী শেখের ছেলে ও ওই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি জামাল উদ্দীন শেখকে দলীয় পরিচয়ের সুবাদে চাকরি দেওয়ার জন্য ১৫ লক্ষ টাকা চুক্তি করে উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোল্লা মোঃ এমদাদুল হক। তিনি মশিদপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি ছিলেন। শিক্ষাগত যোগ্য না থাকায় তাকে ওই পদ ছাড়তে হয়েছে। তবে পদ ছাড়লেও তার মেয়ে মান্দা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. মাহাবুবা সিদ্দিকা রুমাকে কৌশলে ওই মাদ্রাসার সভাপতি বানিয়েছেন। তাই তার মেয়ে মাদ্রাসার সভাপতি হওয়াই "অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর" পদে টাকার বিনিময়ে নিয়োগের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। আর দুই দফায় মোট ১৫ লক্ষ টাকা দিতে রাজি হয় ছাত্রলীগের এই সভাপতি।

ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ভুক্তভোগী জামাল উদ্দীন শেখ বলেন, মান্দা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোল্লা মো. এমদাদুল হককে চার লক্ষ টাকা এবং তার মেয়ে মান্দা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মাদ্রাসার সভাপতি মোছা. মাহাবুবা সিদ্দিকা রুমাকে দুই লক্ষ টাকা দিই। বাঁকি টাকা নিয়োগ সম্পন্ন হওয়ার পরে দেব বলে তাদের সাথে আমার চুক্তি হয়। এর মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যানকে টাকা দেওয়ার খবর শুনে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মো. হারুন অর রশিদ এবং সহ-সভাপতি মো. মজিবর রহমানও আমার কাছে টাকা দাবি করে বসে। উপায় না পেয়ে এক লক্ষ টাকা করে মোট দুই লক্ষ টাকা দিই। কিন্তু ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত আমার নিয়োগ সম্পন্ন না হওয়ায় আমি চিন্তায় পড়ে যাই। এরমধ্যে গত মঙ্গলবার আমি জানতে পারি তারা বোর্ড গঠন করে অন্য একজনকে চাকুরি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। বিষয়টি জানতে পেরে চেয়ারম্যানের কাছে গেলে তিনি আমাকে মদ্যপ অবস্থায় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও বেধড়কভাবে মারধর ও শারিরীকভাবে লাঞ্চিত করে এবং আমাকে টাকা ফেরত বা চাকুরি কোনোটাই দিবে না বলে জানিয়ে দেয়। তাই আমি বাধ্য হয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। আমি গরীব ঘরের সন্তান। টাকাগুলো অনেক কষ্টে জোগাড় করেছি। আমি এর সুষ্ঠ বিচার চাই।

মজিদপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. হারুন অর রশিদের মুঠোফোনে একাধিক বার কল দিলেও তার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মজিদপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি ও মান্দা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ মাহাবুবা সিদ্দিকা রুমা বলেন, টাকা নিয়ে চাকুরি দেওয়ার কথা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। তার সাথে আমার কোনো যোগাযোগ নেই। তাই আমার টাকা নেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসেনা।

টাকা নিয়ে চাকরি না দেওয়া ও মদ্যপ অবস্থায় শারীরিক ভাবে নির্যাতনের বিষয়ে জানতে চাইলে মান্দা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোল্লা মো. এমদাদুল হক বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা সকল অভিযোগ মিথ্যা। এর কোন ভিত্তি নেই।

অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, এবিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad