নিজস্ব প্রতিবেদক►
দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার দুইটি স্কুল শতভাগ পাশের রেকর্ড গড়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে এসকেএস স্কুল এ্যান্ড কলেজ। আর অন্যটি হচ্ছে বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল।
“এসকেএস স্কুল এ্যান্ড কলেজ” থেকে এবার ১৪৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৩ জন।
অন্যদিকে “বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল”-এর ৭৭ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ জন শিক্ষার্থী।
এছাড়া, “আহম্মেদ উদ্দিন শিশু শাহ নিকেতন স্কুল এন্ড কলেজ” থেকে ২৪৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২৩৭ জন। পাশের হার ৯৬.৭৩%। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৬ জন। আর ফেল করেছে ৮ জন।
“গাইবান্ধা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়” থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ২৩৬ জন। এর মধ্যে পাশ করেছে ২২৮ জন। ১২৫ জন পেয়েছে জিপিএ-৫। ফেল করেছে ৮ জন। পাশের হার ৯৬.৬১%।
“গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়” থেকে পরীক্ষা দিয়েছে ২২১ জন। পাশ করেছে ২২০ জন। ১৫০ শিক্ষার্থী পেয়েছে জিপিএ-৫। ফেল করেছে ১ জন। পাশের হার ৯৯.৫৫%।
“গাইবান্ধা সদর উপজেলা মডেল স্কুল এন্ড কলেজ” থেকে ১০২ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ৯২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ জন আর ফেল করেছে ১০ জন। পাশের হার ৯০.২০%।
“আমার বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ” থেকে ৪৮ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ৪২ জন। এর মধ্যে ৫ জন পেয়েছে জিপিএ-৫। ফেল করেছে ৬ জন। পাশের হার ৮৭.৫০%।
অপরদিকে সাঘাটা উপজেলার “এসকেএস নূতনকুঁড়ি মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ” ও “সাঘাটা শিশু নিকেতন স্কুল” শতভাগ পাশ করেছে।
“এসকেএস নূতনকুঁড়ি মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ” থেকে ৪৯ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ জন শিক্ষার্থী।
“সাঘাটা শিশু নিকেতন স্কুল” থেকে ৪৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ জন।
অনুভূতি ব্যক্ত করে “এসকেএস স্কুল এ্যান্ড কলেজ” এর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী আফিয়া আমিন নুবাহ্ বলেন, “মা মারা যাওয়ার পর আমার এমন সাফল্যের সবচেয়ে বড় অংশীদার আমার প্রতিষ্ঠান। আমাদের শিক্ষকরা আমাদের ভালো সাপোর্ট দিয়েছেন। তাদের গাইডলাইনেই আজকের এমন সাফল্য আমাদের।”
শিক্ষার্থীর অভিভাবক মাহবুবুর রহমান বলেন, “করোনার কারণে আমার ছেলের মতো অন্য শিক্ষার্থীরাও ক্লাসের সুযোগ তেমন একটা পায়নি। তারপরেও তারা ভালো ফল অর্জন করতে পেরেছে। বাবা হিসেবে আমি গর্ববোধ করি। সেইসাথে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”
শিক্ষার্থীদের এমন সাফল্যে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে এসকেএস স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার বলেন, “এসএসসিতে সাফল্য অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা এই প্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল। দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষকদের গাইডলাইন, অভিভাবকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং সর্বপরি প্রতিষ্ঠানের সার্বিক তদারকির ফলে আজকে আমরা শতভাগ পাসের রেকর্ড গড়তে পেরেছি। এই ধারাবাহিকতা আগামীতেও আমরা ধরে রাখতে চাই।”
গাইবান্ধা জেলায় মোট ২৭ হাজার ৬১৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ২২ হাজার ৪৬৬ জন। জিপিএ-৫ ২৫৩১ জন। পাশের হার ৮১ দশমিক ২২ ভাগ।
নিজস্ব প্রতিবেদক►
দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় গাইবান্ধা সদর উপজেলার দুইটি স্কুল শতভাগ পাশের রেকর্ড গড়েছে। এর মধ্যে একটি হচ্ছে এসকেএস স্কুল এ্যান্ড কলেজ। আর অন্যটি হচ্ছে বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল।
“এসকেএস স্কুল এ্যান্ড কলেজ” থেকে এবার ১৪৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৩ জন।
অন্যদিকে “বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল”-এর ৭৭ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ জন শিক্ষার্থী।
এছাড়া, “আহম্মেদ উদ্দিন শিশু শাহ নিকেতন স্কুল এন্ড কলেজ” থেকে ২৪৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে ২৩৭ জন। পাশের হার ৯৬.৭৩%। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৬ জন। আর ফেল করেছে ৮ জন।
“গাইবান্ধা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়” থেকে পরীক্ষা দিয়েছিল ২৩৬ জন। এর মধ্যে পাশ করেছে ২২৮ জন। ১২৫ জন পেয়েছে জিপিএ-৫। ফেল করেছে ৮ জন। পাশের হার ৯৬.৬১%।
“গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়” থেকে পরীক্ষা দিয়েছে ২২১ জন। পাশ করেছে ২২০ জন। ১৫০ শিক্ষার্থী পেয়েছে জিপিএ-৫। ফেল করেছে ১ জন। পাশের হার ৯৯.৫৫%।
“গাইবান্ধা সদর উপজেলা মডেল স্কুল এন্ড কলেজ” থেকে ১০২ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ৯২ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ জন আর ফেল করেছে ১০ জন। পাশের হার ৯০.২০%।
“আমার বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ” থেকে ৪৮ জন পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছে ৪২ জন। এর মধ্যে ৫ জন পেয়েছে জিপিএ-৫। ফেল করেছে ৬ জন। পাশের হার ৮৭.৫০%।
অপরদিকে সাঘাটা উপজেলার “এসকেএস নূতনকুঁড়ি মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ” ও “সাঘাটা শিশু নিকেতন স্কুল” শতভাগ পাশ করেছে।
“এসকেএস নূতনকুঁড়ি মাধ্যমিক বিদ্যাপীঠ” থেকে ৪৯ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ জন শিক্ষার্থী।
“সাঘাটা শিশু নিকেতন স্কুল” থেকে ৪৫ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬ জন।
অনুভূতি ব্যক্ত করে “এসকেএস স্কুল এ্যান্ড কলেজ” এর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী আফিয়া আমিন নুবাহ্ বলেন, “মা মারা যাওয়ার পর আমার এমন সাফল্যের সবচেয়ে বড় অংশীদার আমার প্রতিষ্ঠান। আমাদের শিক্ষকরা আমাদের ভালো সাপোর্ট দিয়েছেন। তাদের গাইডলাইনেই আজকের এমন সাফল্য আমাদের।”
শিক্ষার্থীর অভিভাবক মাহাবুর রহমান মন্ডল বলেন, “করোনার কারণে আমার ছেলের মতো অন্য শিক্ষার্থীরাও ক্লাসের সুযোগ তেমন একটা পায়নি। তারপরেও তারা ভালো ফল অর্জন করতে পেরেছে। বাবা হিসেবে আমি গর্ববোধ করি। সেইসাথে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”
শিক্ষার্থীদের এমন সাফল্যে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে এসকেএস স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার বলেন, “এসএসসিতে সাফল্য অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা এই প্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছিল। দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষকদের গাইডলাইন, অভিভাবকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এবং সর্বপরি প্রতিষ্ঠানের সার্বিক তদারকির ফলে আজকে আমরা শতভাগ পাসের রেকর্ড গড়তে পেরেছি। এই ধারাবাহিকতা আগামীতেও আমরা ধরে রাখতে চাই।”
গাইবান্ধা জেলায় মোট ২৭ হাজার ৬১৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাশ করেছে ২২ হাজার ৪৬৬ জন। জিপিএ-৫ ২৫৩১ জন। পাশের হার ৮১ দশমিক ২২ ভাগ।