নাগেশ্বরী সংবাদদাতা ►
তীব্র গরমের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি হয়েছে কুড়িগ্রামে। কিন্তু বৃষ্টিতে শিলাসহ ছিল দমকা হাওয়া। এতে বেশ কিছু এলাকায় শিলার আঘাতে ঘরের চালের টিন, ধান ও আমের ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে জেলার ফুলবাড়ী উপজেলায়। এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শিলাবৃষ্টিতে ঘরের টিন ফুটোসহ আধাপাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে পশ্চিম আকাশে ব্যাপক তর্জন গর্জনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। প্রায় ১৭ মিনিটের এ শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার চন্দ্রখানা, পানিমাছকুটি, কুটিচন্দ্রখানা ও তালুক শিমুলবাড়ীসহ বেশকিছু এলাকায় আগাম জাতের ইরি-বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ফসলের পাশাপাশি এলাকার ২০টিরও বেশি ঘরের টিনের চালা ফুটো হয়েছে।
চন্দ্রখানা গ্রামের মুকুল বিদ্যুতের দুই বিঘা জমির আধাপাকা ধানসহ তার ঘরের টিন ফুটো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘শুধু আমার নয়, আমার এলাকার অনেক কৃষকের জমির আধাপাকা ধান শিলাবৃষ্টির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়াও ক্ষতির মুখে পড়েছে শীষ আসতে শুরু করেছে এমন শতশত বিঘা জমির ধান।’
একই এলাকায় শিলার আঘাতে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয় জয়ন্তি বালার (৪৫) একমাত্র বসত ঘরটি।
এ ছাড়াও উপজেলার বেশকিছু এলাকায় শিলাবৃষ্টি হয়েছে। পানিমাছকুটি এলাকার বাসিন্দা আমিনুল ইসলামের ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি বসত ঘরের টিনের চাল ফুটো হয়েছে বলে তিনি জানান। এদিকে নাগেশ্বরীতে ঝড়োবৃষ্টিতে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
পৌর এলাকার বল্লভপুর গ্রামের আইয়ুব আলী বলেন, গাছের যে ক’টা আম ছিল সব মাটিতে পড়ে গেছে। একই কথা জানান ওই এলাকার মাইনুল ইসলাম।
ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোছা: নিলুফা ইয়াছমিন জানান, শিলাবৃষ্টির পর সন্ধায় খোঁজ নিয়ে তেমন ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলা কৃষি কন্ট্রোল রুমকে ভাল করে খোজখবর নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামীকাল ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ জানা যাবে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (খামার বাড়ি) উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, এ বৃষ্টিতে খুব বেশি ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা নেই। তারপরও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের খোঁজ নিতে বলা হয়েছে।