Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৩-৫-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৫:১৮

গরমে কাহিল শ্রমজীবি মানুষ!

গরমে কাহিল শ্রমজীবি মানুষ!

নিজস্ব প্রতিবেদক ►

গাইবান্ধার চরাঞ্চলসহ জেলার চারিদিকে যেন খা খা অবস্থা বিরাজ করছে। জেলায় গত কয়েকদিন ধরে অব্যাহত রয়েছে প্রখর রোদ আর ভ্যাপসা গরম। আর গ্রামীন মানুষদের মধ্যে শুরু হয়েছে হাঁসফাঁস। এসব মানুষ একটু স্বস্তি পেতে ছুটছেন এদিক-সেদিক। এই গরমের ফাঁদে কাহিল শ্রমজীবি মানুষেরা!

 শনিবার (১৩ মে) দুপুরে গাইবান্ধার প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে দেখা যায় তীব্র গরমের শিকার মানুষের হাঁসফাঁসের চিত্র। এসময় অনেকে ঘাম ঝড়া দেহ নিয়ে হাপাচ্ছিলেন।  

দেখা যায়, গাইবান্ধা জেলায় গত ১০ দিন ধরে দিনের বেলায় প্রখর রোদের ঝলকানি। আর এই রোদে পুড়ছে কৃষকের মাঠসহ বাসা-বাড়ি ও পথঘাট। দেখা নেই বৃষ্টির। যার ফলে বেড়েছে দাবদাহ। অসহনী গরমে মানুষের মাঝে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর প্রভাবে খেটে খাওয়া মানুষেরা কোন কাজই মনোযোগি হতে পারছে না। তীব্র গরমের ঠেলায় তারা ঠিকভাবে করতে পারছে না কাজকর্ম।
বিশেষ করে শ্রমজীবি মানুষেরা কাঁঠফাটা রোদ আর অসহনীয় গরমে কৃষকের বোরো ধান কেটে মাড়াই করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। সেই সঙ্গে সিএনজি, আটোরিকশা ও ভ্যান চালকদেরও একই অবস্থায়।

অনেকে জীবিকার তাগিদে বাড়ি থেকে বেরুলে রোদ-ভ্যাপসা গরমে অস্থির হয়ে উঠছেন। বার্ধ্য হয়ে তারা ফিরছে বাড়িতে। এর ফলে শ্রমজীবি মানুষের থমকে গেছে জীবনযাত্রা। এমতাবস্থায় গাইবান্ধার মানুষদের বেড়েছে রোগবালাই। অনেকের স্বর্দি, জ্বর, কাশি, মাথা ব্যথা ও নানা রোগের আক্রান্ত হচ্ছেন। সম্প্রতি তীব্র তাবদাহ থেকে রক্ষা পেতে এক পশলা বৃষ্টির প্রার্থনা করছে।  

কৃষি শ্রমিক আফতাব উদ্দিন বলেন, ইতোমধ্যে কৃষকের বোরো ধান কাটা-মাড়াই পুরোদমে শুরু হয়েছে। তাদের ধান ঘরে তুলে দিতে মাথার ঘাম পায়ে ঝড়ছে। অসহনীয় গরম আর রোদে মাঠে থাকা কষ্ট হচ্ছে। ভ্যানরিকশা চালক নজরুল ইসলাম বলেন, বৈশাখের এই তীব্র রোদের কারণে গাড়ী চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এত গরম যে রাস্তায় দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আর গরমের কারণে মানুষ কম বের হচ্ছে। ফলে আয়-ইনকাম কমে গেছে।

গাইবান্ধা সিভিল সার্জন আব্দুল্লাহেল মাফী বলেন, গরমের কারণে সম্প্রতি জ্বর-ডায়রিয়াসহ নানা রোগ বাড়ছে। এ বিষয়ে মানুষদের সেবা দেওয়াসহ তাদের সচেতনতা করা হচ্ছে।
 

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad