
নিজস্ব প্রতিবেদক►
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উদ্যোক্তা আল-আমিন প্রথমবারের মতো গলদা চিংড়ি চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন। উপজেলার ধোপাডাঙ্গা ইউনয়িনরে ফকিরপাড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে আয়োজিত এক কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে তার সফলতার গল্প শুনিয়েছেন তিনি।
পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সহযোগিতায় এবং এসকেএস ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নে পরিচালিত ‘নিরাপদ মৎস্য ও মৎস্য পণ্য উৎপাদন এবং বাজারজাতকরণ (আরএমটিপি)’ শীর্ষক উপ-প্রকল্পের আওতায় গলদা চিংড়ি ও কার্প জাতীয় মাছ চাষ প্রদর্শনী প্লটের ফলাফল প্রদর্শনের জন্য এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে স্থানীয় কৃষক, উদ্যোক্তা, মৎস্যচাষি, প্রকল্পকর্মী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।
এসময় আল-আমিন জানান, আরএমটিপি প্রকল্পের আওতায় ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা পেয়ে তিনি পুকুরে গলদা চিংড়ি চাষ শুরু করেন। আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি ওই প্রকল্পের পক্ষ থেকে চিংড়ি চাষের যাবতীয় কারিগরি সহায়তা, প্রশিক্ষণ এবং বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে নিয়মিত পরামর্শ পেয়েছেন তিনি। এসব সহযোগিতায় তিনি প্রথমবারের মতো গলদা চিংড়ি চাষ শুরু করেন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই আশানুরূপ ফলাফল পান। চাষে সফল হয়ে এখন তিনি নিজের উদ্যোগ আরও সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছেন। একই সঙ্গে এলাকার অন্যান্য তরুণদেরও এ খাতে আগ্রহী করতে কাজ করছেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আল-আমিনের মতো তরুণ উদ্যোক্তারা যদি আধুনিক পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষে এগিয়ে আসে, তবে গ্রামীণ অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে এবং টেকসই কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। তারা আরও বলেন, গলদা চিংড়ি ও কার্প জাতীয় মাছ চাষের আধুনিক পদ্ধতি কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিলে উৎপাদন বৃদ্ধি ও বাজারে মানসম্মত পণ্য সরবরাহ সম্ভব হবে।
স্থানীয় সমাজসেবক নুরুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন গাইবান্ধা জেলা যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষক কর্মকর্তা রুহুল আমিন, আরএমটিপি প্রকল্পের ভিসিএফ মোকলেছুর রহমান, এভিসিএফ মো. ইউসুফ আলী ও জাহিদসহ আরও অনেকে।
উল্লেখ্য, আরএমটিপি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে এসকেএস ফাউন্ডেশন, সহযোগিতায় রয়েছে পিকেএসএফ, এবং অর্থায়ন করছে আইএফএড (IFAD) ও ডেনমার্ক দূতাবাস (Embassy of Denmark)।