নিজস্ব প্রতিবেদক►
দীর্ঘ ৯ বছর পর গাইবান্ধা সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোট ১৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ভোট গণনা শেষে মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে গাইবান্ধা পাবলিক লাইব্রেরি অ্যান্ড ক্লাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি পদে মোশাররফ হোসেন বাবু, সাধারণ সম্পাদক পদে মকছুদার রহমান এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নূরে আলম সিদ্দিক পিটন নির্বাচিত হন। এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক (২) পদে নির্বাচিত হয়েছেন হারুন অর রশিদ রাহাত।
এর আগে দুপুর সোয়া ১টা থেকে শুরু হওয়া কাউন্সিল অধিবেশন চলে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। উপজেলার ১৩ ইউনিয়নের ৯২৩ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় ৮৮৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন বলে নিশ্চিত করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী আমিরুল ইসলাম ফকু।
প্রাপ্ত ফলাফল শিটে দেখা গেছে, সভাপতি পদে মোশাররফ হোসেন বাবু (ঘোড়া প্রতীক) ৪৭১ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল আউয়াল আরজু (ছাতা প্রতীক) পেয়েছেন ৩২৪ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে মকছুদার রহমান (আনারস প্রতীক) ৩৮৮ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাশেদুজ্জামান লিটন (হরিণ প্রতীক) ২১০ ভোট পেয়েছেন।
এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক (১) পদে নূরে আলম সিদ্দিক পিটন (দেওয়াল ঘড়ি প্রতীক) ৩৬৬ ভোট পেয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক (২) পদে হারুন অর রশিদ রাহাত (মই প্রতীক) পেয়েছেন ৩২৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহ নেওয়াজ খান (হ্যারিকেন প্রতীক) পেয়েছেন ২৩৩ ভোট।
দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন হয় বেলা ১১টায় পৌর শহীদ মিনার চত্বরে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন ও কবুতর উড়িয়ে। উদ্বোধন করেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রংপুর বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম। পরে পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নুরুল আজাদ মন্ডল।
প্রধান অতিথি ছিলেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক। এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক, সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন নবী টিটুলসহ অন্য নেতারা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ইলিয়াস হোসেন।
দীর্ঘদিন পর আয়োজিত এ কাউন্সিল ঘিরে সকাল থেকেই ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সম্মেলনস্থলে সমবেত হন। তৃণমূল নেতাদের প্রত্যাশা, নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি আরও সুসংহত হবে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের পর একাধিকবার আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। প্রায় ৯ বছর পর সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে সাংগঠনিক স্থবিরতা কাটবে। নির্বাচিত সভাপতি ও সম্পাদক দ্রুত পূর্ণাঙ্গ উপজেলা কমিটি গঠন করবেন।