নিজস্ব প্রতিবেদক►
গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হওয়া অজ্ঞাত সেই নারীর পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম নমিতা রানী মহন্ত (২৭)। তিনি জেলা শহরের মাস্টারপাড়া এলাকার নয়ন চন্দ্র মহন্তের স্ত্রী।
আজ (সোমবার, ২৪ জুন) সকালে মাধুকর ডট নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা রেলওয়ে পুলিশের আইসি আব্দুল মতিন।
এর আগে গতকাল (রবিবার, ২৩ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহরের স্টেডিয়াম রেলগেট এলকায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হন ওই নারী।
রেলওয়ে পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, নয়ন-নমিতা দম্পতির ১০ বছরের একটি ছেলে আছে। নয়ন তার স্ত্রী-সন্তান, মা-বাবা এবং ছোট ভাই ও তার স্ত্রী-সন্তানদেরকে নিয়ে একই বাসায় বসবাস করতেন। তাদের মধ্যে পারিবারিক অশান্তিও ছিল। এরই এক পর্যায়ে রবিবার বিকেলে সবার অজান্তে নমিতা বাড়ি থেকে একাই বের হয়ে আসে। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহরের স্টেডিয়াম রেলগেট এলকায় গিয়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
গাইবান্ধা রেলওয়ে পুলিশের আইসি আব্দুল মতিন মাধুকর ডট নিউজকে বলেন, নিহত নমিতার আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। পরিবারের লোকজনকে জানানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক►
গাইবান্ধায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত সেই নারীর পরিচয় মিলেছে। তার নাম নুরিনা বেগম (৪৩)। তিনি গোবিন্দগঞ্জের হরিরামপুরের রামপুরা এলাকার হযরত আলীর স্ত্রী ও একই এলাকার নুরুল ইসলামের মেয়ে।
আজ (সোমবার, ৩ মার্চ) দুপুরে গাইবান্ধার বোনারপাড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল (রবিবার, ২ মার্চ) রাত সাড়ে ৭টার দিকে গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন সরকারপাড়া এলাকায় রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়েন নুরিনা বেগম। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
নিহত নুরিনা বড় ভাই হারুন অর রশিদ জানান, রবিবার দুপুরে তরকারিতে লবন কম হওয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডা শুরু হয় চোখে কম দেখতে পাওয়া স্বামী হযরত আলীর সঙ্গে। পরে নুরিনা বাড়ি থেকে রাগ করে বের হয়ে যায়। এদিক ওদিক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। সোমবার সকালে তার ট্রেনে কাটা পড়ার খবর পাওয়া যায়।
বোনারপাড়া রেলওয়ে থানার ওসি খায়রুল ইসলাম তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর (ইউডি) মামলা করা হয়েছে। লাশ নিহতের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।