প্রেস বিজ্ঞপ্তি►
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ এসকেএস ইন, রাধাকৃষ্ণপুর, গাইবান্ধায় এসকেএস ফাউন্ডেশনের Child-Centred Anticipatory Action for Better Preparedness of Communities and Local Institutions in Northern and Coastal Areas of Bangladesh প্রকল্পের আয়েজনে গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারগনের অংশগ্রহনে বন্যার লোকাল ট্রিগার ও থ্রেসোল্ড নির্ণয় বিষয়ক কন্সাল্টেশন সম্পন্ন হয়েছে।
এসকেএস ফাউণ্ডেশনের রিসোর্ট সেন্টার এসকেএস ইন, জলধারার হলরুমে এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
এসকেএস ফাউন্ডেশনের Child-Centred Anticipatory Action for Better Preparedness of Communities and Local Institutions in Northern and Coastal Areas of Bangladesh প্রকল্পের কর্মকর্তা রণজিৎ কুমার পাল-এর সঞ্চালনায় কনসালটেশন অনুষ্ঠানের সুচনা বক্তব্য রাখেন মো: জালাল উদ্দিন, প্রজেক্ট ম্যানেজার, মাল্টিহ্যাজার্ড এন্টিসিপেটরী একশন প্রকল্প, এসকেএস, গাইবান্ধা।
শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন মো: সাখাওয়াত হোসাইন, হরিপুর কাশিমবাজারস্থ নাজিমাবাদ আলীম মাদ্রাসার প্রভাষক ও ঈমাম ও বেলকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো: ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ, উদ্বোধন করেন মোল্লারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো: সাইদুজ্জামান।
উল্লেখ্য যে, এসকেএস ফাউন্ডেশন GFFO Multi Hazard Anticipatory Action Initiatives নামক প্রকল্পটি ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে গাইবান্ধা জেলায় তিনটি উপজেলা যথা গাইবান্ধা সদর. ফুলছড়ি এবং সুন্দরগঞ্জ মোট ১২টি ইউনিয়নে কাজ করে আসছে।
জার্মান ফেডারেল ফরেন অফিস এর আর্থিক সহায়তায় সেভ দ্য চিলেড্রন এর সার্বিক সহযোগিতায় ও রাইমস এর কারিগরি সহায়তায় এ প্রকল্পটি বন্যার পূর্বাভাস ভিত্তিক আগাম সাড়াদান কার্যক্রম এর মাধ্যমে বন্যাকবলিত লক্ষিত জনগোষ্ঠির সম্পদ ও জীবনমানের ক্ষয়ক্ষতি কমানের লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহন ও সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডারদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও সক্ষমতা বাড়ানোয় কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহনে ভূমিকা রাখছে।
কন্সাল্টেশন অনুষ্ঠানে গাইবান্ধা সদর উপজেলা, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের ৪৮জন প্রতিনিধি অংশগ্রহন করেন। এ অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারগণ কিভাবে লক্ষিত জনগোষ্টিকে বন্যার পূর্বাভাস অনুযায়ী নিজ নিজ ইউনিয়নের বন্যার বিপদসীমা নির্নয় এবং বন্যা সতর্কবার্তার ভিত্তিতে তাদের গ্রহীত পদক্ষেপ এবং সহায়তা সমূহ প্রদান করবে, কিভাবে বন্যাপ্রবণ জনগোষ্ঠিকে তাদের সম্পদ ও জীবিকায়ন ক্ষতি হ্রাস করা যাবে তা চিহ্নিত করে।
অংশগ্রহনকারী ২ টি উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বন্যা থ্রেসোল্ড নির্নয় ও ট্রিগার নির্নয়ে ২ টি দলীয় কাজে সহায়তা করেন প্রকল্প কর্মকর্তা রণজিৎ কুমার পাল ও মো: রেজাউল করিম। প্রশিক্ষনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদ এর প্রশাসনিক কর্মকর্তাবৃন্দ,উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য/সদস্যা,ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্য্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যগণ প্রমূখ। দিনব্যাপি এ অনুষ্ঠানের শেষে প্রত্যেক ইউনিয়নের একটি করে বন্যা পূর্ববর্তী কাজের পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়।