নিজস্ব প্রতিবেদক►
গাইবান্ধায় স্বাস্থ্য ও যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্যের অধিকার ও প্রান্তিক এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকা নিশ্চিত করা বিষয়ে এক আলোচনা ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ (সোমবার, ২১ জুলাই) দুপুরে শহরের সার্কুলার রোডের একটি রেস্টুরেন্টের হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অভিভাবক, কিশোর-কিশোরী, যুব নারী-পুরুষ ও স্বাস্থ্য বিভাগীয় কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন।
রিপ্রোডাকটিভ হেলথ সার্ভিসেস ট্রেনিং এন্ড এডুকেশন প্রোগ্রাম (আরএইচস্টেপ) ক্লিনিক ও আলোর ধারা পাঠশালা যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করে। আরএইচস্টেপ এর ইউনিট প্রধান মো. এনামুল হক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বিস্তারিত তুলে ধরেন। পরে কর্মসূচি ব্যাখ্যা করে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেন সংগঠনের ইয়ুথ অফিসার মোছা. আসফিয়া খাতুন।
এসময় প্রদত্ত তথ্যে জানানো হয়, আরএইচস্টেপ বিশ্বাস করে, ‘সবার জন্য স্বাস্থ্য অধিকার তখনই বাস্তবায়িত হবে যখন সমাজের সবচেয়ে প্রান্তিক ব্যক্তি পর্যন্ত এই সেবার আওতায় আসবে তাদের কণ্ঠস্বর শোনা হবে এবং তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণে অং নিতে পারবে। এই লক্ষ্যে আরএইচস্টেপ কাজ করে যাচ্ছে একটি ন্যায্য ও অন্তর্ভূক্তিমূলক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গঠনের জন্য। তরুণদের কণ্ঠস্বর ছাড়া এসআরএইচআর অধিকার পূর্ণতা পায় না। আরএইচস্টেপ ও ইউওয়াইপি- এর মাধ্যমে একটি অন্তর্ভূক্তিমূলক, সচেতন ও মানবিক সমাজ নির্মাণ সম্ভব প্রতিটি তরুণের কণ্ঠস্বর পরিবর্তনের শক্তি।
অনুষ্ঠানের মূল আলোচক পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মোছা. মাহবুবা খাতুন গাইবান্ধার চরাঞ্চলের বাল্য বিবাহ, সন্তান ধারণ ও মাতৃমৃত্যুর প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি কিশোর-তরুণ ও অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। প্রযুক্তির অগ্রগতির এই যুগে পারিবারিক ও সামাজিক পর্যায়ে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য বিষয়ে নতুন প্রজন্মকে সচেতন করে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে হবে।
পরে উন্মক্ত ও প্রশ্নত্তোর পর্বে অংশ নেন গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সভাপতি অমিতাভ দাশ হিমুন, প্যারামেডিক মোছা. রুজিনা বেগম ও অভিভাবক আঞ্জুমান আরা বেগম।