গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি ►
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর ভায়া ঘোড়াঘাট আঞ্চলিক মহাসড়কে দু’টি সরু ব্রীজের কারণে মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারী, চলাচলকারী যানবাহনের চালক ও যাত্রী সাধারণ। বড় দুর্ঘটনা রোধে দ্রুত ব্রীজ দুটি সংস্কারের দাবী স্থনীয়দের।
গোবিন্দগঞ্জ-দিনাজপুর ভায়া ঘোড়াঘাট আঞ্চলিক মহাসড়ক ব্যাবহার করে প্রতিদিন হিলি স্থল বন্দর, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ছাড়াও দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, জেলার যাত্রীবাহী ও মালামাল বহনকারী যানবাহন চলাচল করে। যে কারণে এই সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইতিমধ্যে গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সড়কটি সংস্কারের মাধ্যমে প্রশস্ত করে। সড়কটি পশস্ত হওয়ার পর থেকে যানবাহনের গতি বেড়েছে তুলনামুলক অনেক বেশী।
এদিকে আঞ্চলিক মহাসড়কটি দিনাজপুর থেকে গোবিন্দগঞ্জ পর্যন্ত প্রশস্ত করা হলেও গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকার চাষক পাড়া এবং খলশি নামক স্থানের ব্রীজটি সরু হওয়ায় বিভিন্ন স্থান থেকে যাতায়াত করা যানবাহন গুলি মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। বিশেষ করে রাতের বেলা ব্রীজটি সম্পর্কে ভাল ভাবে বুঝতে না পেরে অনেক চালকই দুর্ঘটনার শিকার হন।
স্থানীয়রা জানান, গত ১৫ মে চট্রগাম থেকে আসা একটি রডবাহী ট্রাক দিনাজপুর দিকে যাওয়া প্রশস্ত সড়কে আসার সময় কোথাও কোন নির্দেশণা না চালক কিছু বুঝতে না পেরে সরু ব্রীজের সাথে ধাক্কা খেয়ে ব্রীজটির রেলিং আংশিক ভেঙ্গে যায় এবং ট্রাকটি পাশে উল্টে যায়। খলসি গ্রামের আলাউদ্দীন বলেন,ব্রীজ ২টি সড়কের চেয়ে প্রশস্ত কম যে কারণে চালকরা দুরে থেকে বুঝতে না পেরে মাঝে মধ্যেই এধরণের দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। বড় দুর্ঘটনা রোধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সু দৃষ্টি কামনা করছে।
গাইবান্ধার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফিরোজ আকতার বলেন, ব্রীজ দুটির ব্যাপারে আমরা অবগত আছি। ইতিমধ্যে নক্সা সহ আনুষাঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে এবং অন্যান্য কাজও পক্রিয়াধীন রয়েছে। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু করা হবে।