Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ৫-৭-২০২৩, সময়ঃ বিকাল ০৩:২৭

গোবিন্দগঞ্জে আষাঢ়ের শেষেও পুকুর ও খাল বিল পানি শুন্য॥ দেশী মাছ উৎপাদন বিঘিœত হওয়ার আশংকা

গোবিন্দগঞ্জে আষাঢ়ের শেষেও পুকুর ও খাল বিল পানি শুন্য॥ দেশী মাছ উৎপাদন বিঘিœত হওয়ার আশংকা

গোবিন্দগঞ্জ  প্রতিনিধি ে►

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আষাঢ়ের শেষার্ধেও পুকুর ও খাল বিল পানি শুন্য হয়ে পড়ে আছে। বর্ষা মৌসুমে আবহাওয়ার বিরুপ প্রভাবে পুকুর ও খাল বিলে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় মাছ চাষ বিঘিœত এবং উৎপাদন ব্যহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। 
গোবিন্দগঞ্জে সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে বেসরকারি বা ব্যক্তি মালিকাধীন ৭ হাজার ১২৫ টি পুকুর রয়েছে এর আয়তন প্রায় ১ হাজার ২৯০ হেক্টর ও সরকারি পুকুরের সংখ্যা ২৭০টি যার আয়তন ১৩২ হেক্টর। সরকারি পুকুর গুলি লিজ নিয়ে যারা বাণিজ্যিক ভাবে মাছ চাষ করেন তারা বিশেষ ব্যবস্থায় সেচের মাধ্যমে পুকুর ও খাল বিলের মাছ চাষ অব্যহত রেখেছেন।

কিন্ত, ব্যক্তি মালিকানার পুকুর গুলির মাছ চাষ সাধারণত বর্ষার পানির ওপর নির্ভর  করতে হয়। বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এই পুকুর গুলি পানি শুন্য অবস্থায় রয়েছে। পুকুর মালিকরা জানান গত বছর গুলোতে এ সময়  পানিতে টুইটুম্বুর অবস্থায় ছিল। যে কারণে এ সময় পুকুরে মাছের পোণা ছাড়া হয়েছিল। এবার বৃষ্টিপাত না হওয়ায় মাছের পোণা ছাড়া সম্ভব হয়নি। 

সাপমারার  ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ গ্রামের আব্দুল মজিদ জানান প্রতিবছর প্রতিবেশীর একটি পুকুর নিয়ে মাছের চাষ করতার তাতে নিজের পরিবারের মাছের চাহদা পূরণ করে বাজারে বিক্রি করে কিছু আয় রোজগার হতো।এবার বৃষ্টিপাত না হওয়ায় লিজ নেয়া পুকুরে এখন মাছ চাষ করতে পারিনি। দরবস্ত ইউনিয়নের গোশাইপুর গ্রামের আজিজার রহমান বলেন নিজের পুকুরে মাছ চাষ করে প্রতি বছর এক থেকে দেড় লাখ টাকায় আয় হয়। আষাঢ় মাসের আজ ২০ তারিখ এখনও এই পুকুর পানি শুন্য পড়ে আছে। তিন আরো বলেন তাপদাহ ও খরায় এবার পুকুরে কোন পানিই ছিল না যে কারণে এর মধ্যে যে দেশীয় মাছ ছিল ডিম দেয়ার আগেই সে গুলো মারা পড়েছে। এতে দেশীয় মাছে উৎপাদন ব্যহত হওয়ার আশংকা রয়েছে। 

গোবিন্দগঞ্জের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এমরান হোসেন চৌধুরী বলেন, মাছ চাষ বিলম্বিত হলেও উৎপাদন ব্যহত হওয়ার কোন আশংকা নেই। উপজেলায় বাণিজ্যিক ভাবে মাছের চাষ করা পুকুর ও বিলে  বিশেষ ব্যবস্থায় পানি সরবরাহ করছেন সংশ্লিষ্ট মাছ চাষীরা। আর মাছের ঘাটতি মোকাবেলায় বিল নার্সারি পদ্ধতির মাধ্যমে উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের শাকপালা, নাকাই ইউনিয়নের মহিমাগঞ্জের নরলির বিলে মাছের রেণু থেকে পোনা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
 

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad