গোপাল মহন্ত, গোবিন্দগঞ্জ ►
গোবিন্দগঞ্জে অতিরিক্ত খরা ও তাপদাহে পানের ফলন কমে যাওয়ায় চাষীরা ক্ষতির মুখে পড়েছে। বরজের পান আকারের চেয়ে ছোট এবং পান গাছে রোগবালাই দেখা দেয়ায় আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন তারা।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের দুর্গাপুর, দরবস্ত, হোসেনপুর, অভিরামপুর, তালুক কানুপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর, নারায়নপুর, নাকাই ইউনিয়নের বাজুনিয়াপাড়া, হরিরামপুর ইউনিয়নের শংকরগঞ্জ, রামচন্দ্রপুর, ক্রোড়গাছা, শিবপুর ইউনিয়নের বারটিকরী, পানবাড়ী, কোচাশহর ইউনিয়নের ধরমা, চাঁনপাড়া, সাপামারা ইউনিয়নের রামপুরা সহ উপজেলার বেশ কিছু এলাকায় পান চাষ করা হয়। পানচাষের সাথে জড়িত চাষীর সংখ্যা প্রায় ৬শ’ জন। অনেকেরই সংসার চলে পান চাষের ওপর। কিন্তু গত কয়েক মাসের টানা খরা ও তাপদাহে পান গাছের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। পানচাষীদের অনেকেই দাবী করেছেন, বৃষ্টি না হওয়ায় তাপদাহে প্রচ- গরমে বরজের পান গাছ মরে যাচ্ছে। আবার কিছু কিছু গাছে দেখা দিয়েছে গোড়া পঁচা রোগ। বিভিন্ন ধরণের কীটনাশক প্রয়োগ করেও কাজ হচ্ছে না।
দরবস্ত গ্রামের পান চাষী নীল চান্দ মোহন্ত বলেন, তার দেড় বিঘা জমির পানের বরজ রয়েছে। গত বছরগুলোতে এরকম সময় পানের বরজ থেকে বড় বড় পান পাতা তোলা গেছে এবং দাগমুক্ত পান পেয়েছিলাম। কিন্তু এ বছর কাঙ্খিত বৃষ্টি না হওয়ায় তাপদাহে গরম আবহাওয়ায় পানের গাছ ও পান পাতা শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। যেকারণে পানপাতা ছোট ছোট হচ্ছে। এতে পানের ফলনও যেমন কমে গেছে তেমনি দাম কমে গেছে। গ্রামের অন্যান্য কৃষকরা একই ধরণের কথা বলেন।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই-মাহমুদ বলেন, এই উপজেলায় প্রায় ৬৫ হেক্টর জমিতে পান চাষ হচ্ছে। এই গরমে বরজের পান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং বিভিন্ন ধরণের ছত্রাকে আক্রান্ত হওয়ার খবর রয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে পান চাষীদের পরামর্শ প্রদান করছেন।