গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি►
গোবিন্দগঞ্জে প্রভাবশালীর হুমকিতে ক্রয় করা জমি নিয়ে বিপাকে পড়েছে জমির মালিক। ইউনিয়ন পরিষদ ও আদালতের রায় পেয়েও প্রকৃত মালিক নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। অন্যদিকে আদালত অবমাননা করে বারবার জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা কাটাবাড়ী ইউনিয়নের ২নং কাটাবাড়ী গ্রামের বুলবুল আহমেদের স্ত্রী নাছিমা আখতার জানান, ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসের ৪ তারিখে বাগদা বাজারে বিশ্বরোড সংলগ্ন ২টি পাকা ও একটি টিনশেড ঘর সহ ৮ শতক জায়গা ক্রয় করেন। ক্রয় করা স্থানে তার ছেলে রাকিব দীর্ঘদিন ধরে ঔষধের দোকান করে আসছে। হঠাৎ করে একই এলাকার মৃত আরমান আলী ব্যাপারীর পুত্র একাব্বর আলী তার ভতিজাদের নিয়ে জমিটি জোড় পূর্বক দখলের চেষ্টা চালায়। বাধ্য হয়ে বিচারের আশায় এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ প্রদান করেন।এর প্রেক্ষিতে কাগজপত্র পর্যলোচনা করে ইউনিয়ন পরিষদ আমার পক্ষে রায় ঘোষণা করেন।
তারপরেও তারা নানা ভাবে জমিটি দখলের পায়তারা করতে থাকলে আদালতে মামলা দায়ের করি, যার নম্বর পিটিশন ৩৯৮/২২। বিজ্ঞ বিচারক সাক্ষী প্রমাণ শেষে ১২ মার্চ আমার পক্ষে রায় প্রদান করেন। কিন্ত আসামী একাব্বর আলী মামলার রায় না মেনে আদালতে রিভিশন মামলা দায়ের করেন এবং আদালতের রায় না পাওয়ার আগেই আদালত অবমাননা করে গত ৫ আগষ্ট গভীর রাতে তার লোকজন সহ ওই জমির ফাঁকা জায়গায় গাছ রোপন করে।
এ ব্যাপারে তাদের সাথে কথা বলতে গেলে তারা লাঠি-শোঠাসহ আমার ছেলেকে ধাওয়া করে। পরে কাটাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জমি থেকে গাছগুলি উত্তোলন করে জায়গা ফাঁকা করে দেন।
এরপর গত ২৫ আগস্ট পতিপক্ষ আবারো দখলের উদ্যেশ্যে গাছ রোপন করলে আমি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। এরপ্রেক্ষিতে যেহেতু আদালতে মামলা চলামান রয়েছে সেহেতু জায়গাটি ফাঁকা করে দেয়। পুলিশ তদন্তের আমাদের জমির কাগজ দেখালেও তারা কোন কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে পুলিশ তাদের কাগজপত্র নিয়ে নিদ্ধারিত দিনে থানায় আসতে বলে। কিন্ত একাব্বর আলী থানায় না গিয়ে আবারো জায়গাটি দখলের উদ্যেশ্যে নানা ধরণের অপচেষ্টা চালিয়ে যাছে।
গোবিন্দগঞ্জের কাটাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জোবায়ের হাসান শফিক মাহমুদ গোলাপ বলেন, দলিল ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে পরিষদ নাছিমা আকতারের পক্ষে রায় প্রদান করে। তবে যেহেতু আদালতে মামলা চলমান রয়েছে সেহেতু আদালতের রায়ই চূড়ান্ত।
গোবিন্দগঞ্জ থানার এস আই আনিমেষ উভয়পক্ষকে জমির পক্ষে কাগজপত্রসহ গত ১ সেপ্টেম্বর থানায় আসার জন্য বলা হলেও অভিযুক্ত একাব্বর আলী থানায় আসতে চেয়েও আর আসেনি। এমনকি কয়েকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। এতে করে মনে হচ্ছে তার দাবীর স্বপক্ষে তার কাগজপত্রের ঘাটতি রয়েছে। এরপর আবারো অবৈধভাবে জমি দখল অথবা বাদীকে হুমকি প্রদান করেন তাহলে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।