গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি ►
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ- নাকাইহাট সড়কের সাজ্জাদের ইটভাটা এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত সিরাজুল ইসলাম (৭২) চেংটু মারা গেছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে একটি অটোভ্যানের ধাক্কায় ওই ইটভাটার সামনে গুরুতর আহত হন তিনি। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় অজ্ঞাতনামা হিসেবে গাইবান্ধা সদর হাসাপাতালে ভর্তি করায় এবং সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় চেংটু। হাসাপাতালে নাম ঠিকানা না থাকায় আত্নীয় স্বজনের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। যে কারণে মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে হাসপাতালের বারান্দায় পরে ছিল।
এদিন পুলিশ সুপার মোঃ কামল হোসেন হাসপাতালে এলে বিষয়টি তার নজরে আসে। তাৎক্ষণিক তিনি এই লোকের পরিচয় উদ্ধারে জেলার সকল থানায় খবর প্রেরণ করেন। পরে জানা যায় চেংটু গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের হরিরামপুর ইউনিয়নের রামপুরা পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত আকাম উদ্দীন শেখের পুত্র। তার একমাত্র পুত্র ঢাকার গার্মেন্টেসে চাকুরী করেন আর ২ মেয়ে বিয়ের পর স্বামীর সংসারে রয়েছেন। বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়া সিরাজুল ইসলাম চেংটু অন্যের সহযোগিতা সংসার চালাতো।
গোবিন্দগঞ্জ থানা পরিচয় নিশ্চিত করলে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মোঃ কামাল হোসেন লাশ নিতে আসা স্বজনের হাতে লাশ দাফনের জন্য আর্থিক সহায়তা অর্থ তুলে দেন এবং লাশ পাঠানোর জন্য একটি এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দেন। গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইজার উদ্দীন জানান, গত রাত তিনটা নিহত ব্যক্তির মরদেহ তার বাড়ীতে পৌঁছে দেয়া হয়।
আজ বুধবার বেলা ১১ সিরাজুল ইসলাম চেংটুর বাড়ী হরিরামপুর ইউনিয়নের নিজ গ্রামের জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিার ইনচার্জ ইজার উদ্দীন, হরিরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার উদ্দীন, রীরমুক্তিযোদ্ধা সেকেন্দার আলী স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তাতে অংশ নেন। এদিকে একজন নীরিহ মানুষের জন্য পুলিশ সুপার কামাল হোসেনের এই মানবিকতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নিহত চেংটুর পরিবার এবং প্রসাংশা করেছেন স্থানীয়রা।