গোপাল মোহন্ত, গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি ►
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় ইরিবেরো চাষে সেচ নিয়ে বিপাকে পরেছে কৃষক। কৃষকরা ৭/৮ ফুট গভীর কুপ খনন করে তার মধ্যে সেচ মেশিন বসিয়ে জমিতে সেচ কাজ চালাচ্ছে। তারপরেও সেখান থেকেও ঠিক মত পানি না উঠায় বিপাকে এই এলাকার কৃষকরা।
উপজেলার সাপমারা ইউনিনের চক রহিমাপুর, রামপুরা, সাহেবগঞ্জ, মেরী, মাদারপুর, কাটাবাড়ী ইউনিয়নের পলুপাড়া, কলোনী, ভেলামারী, কৌচা সহ বেশ কিছু এলাকার সেচ মেশিনে পানি ওঠছে না। যে কারণে কৃষকরা কোথাও কোথাও ৮ ফুট কোথায় ১০ ফুট গর্ত খনন করে তার মধ্যে সেচ পাম্প বসিয়ে পানি তুলছে। কিন্তু সেখানেও কয়েকদিন পর পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় পানি পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে পানির সন্ধানে অনেকেই অরো বেশী গভীর গর্ত খনন করছে। ইরিবোরো ধান যেহেতু সেচ নির্ভর সে কারণে ভ’গর্ভস্থ পানি না পাওয়া বিপাকে পরেছে কৃষকরা। সচেতন কৃষকরা মনে করছেন পানির স্তর এ ভাবে নামতে থাকলে আগামী বছর গুলিতে পানি সংকট আরো প্রকট আকার ধারণ করবে।
সাপমারা ইউনিয়নের সাহেবগঞ্জ গ্রামের হবিবর রহমান, বাবলু মিয়া, সোহরার আলী, তৈবর আলী বলেন গত বছর গুলিতে ছোট ছোট কুপ খনন করলেই পানি পাওয়া যেত। এখন প্রতিবছরই কুপ গভীর করতে হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পানি পাওয়া আরো কঠিন হবে। তাতে করে বোরো ধান সংকটের মুখে পড়তে পারে।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ গোবিন্দগঞ্জ অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মোজাফ্ফর হোসেন বলেন এই এলাকা পানির স্তর প্রতিবছরই নীচে নেমে যাওয়ায় খরা মৌসুমে পানি সংকট দেখা দেয়। বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এই সমস্যা নিরসনে বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বাস্তবায়ন হলে পানি সংকটের এই সমস্যা কাটিয়ে উঠবে।