Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৩-৫-২০২৩, সময়ঃ সকাল ০৯:১৫

গোবিন্দগঞ্জের চুইন ভ্যারাইটির আখের কদর বেড়েছে 

গোবিন্দগঞ্জের চুইন ভ্যারাইটির আখের কদর বেড়েছে 

গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধি ►

বৈশাখের প্রচ- গরম ও দাবদহে গোবিন্দগঞ্জের চুইন ভ্যারাইটি লাল জাতের আখের কদর বাড়ায় এখন প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পাইকাররা ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে নিয়ে যাচ্ছে এই রসালো নরম আখ।  উপজেলার কমারদহ ইউনিয়নের কৃষকরা এবছর অধিক জমিতে চাষ করেছে চুইন ভ্যারাইটি লাল জাতের আখ। অনুকূল আবহাওয়ায় আখের রোগবালাই ও পোকা আক্রমণ কম তাই ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। এ বছর প্রচ- গরম থাকায় বিশেষ জাতের এই আখের চহিদা বাড়ায় বাজার দর ভালো পেয়ে লাভবান হচ্ছেন চাষীরা। 

গত বছর গুলোতে করোনার কারণে চাহিদা কমে যাওয়ায় বেশ ক্ষতিগস্ত হয়েছিল কৃষকরা। কিন্ত এ বছর প্রচ- গরম ও তাপদাহ থাকায় চাহিদা বাড়ায় ক্ষতি পুষিয়ে উঠার সম্ভাবনা দেখা দেয়ায় খুশি তারা। ইতোমধ্যে বগুড়া, নওগাঁ, রাজশাহী, খুলনা, সাতাক্ষীরা, নারায়ণগঞ্জ, সিলেট সহ নানা জায়গা থেকে পাইকাররা আসতে শুরু করেছে।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কমারদহ ইউনিয়নের আখ চাষীরা এবারো বকচর, চেরাগাড়ী, চাঁদপারা, ঘোড়ামারা, মাস্তা, বার্ণা আকুব সহ আশপাশের এলাকা জুড়ে বিশেষ লাল জাতের চুইন ভ্যারাইটির কিউ সিক্সটিন, বিএসআরআই-৪১ ও ৪২ জাতের আখ চাষ করেছেন। বিশেষ লাল রংগের এ আখ দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও  তেমনি মিষ্টি, রসালো নরম এবং সুস্বাদু। তাই এ আখের শরবত বিক্রি হয়ে থাকে এবং ছোবা নরম হওয়ায় মানুষ চিবিয়ে খেয়ে থাকেন। দেশব্যাপী এ আখের চাহিদা বাড়াই আখ কিনতে আসা ব্যবসায়ি এবং পাইকারদের উপস্থিতিতে এখন সরগরম এই এলাকা।

বকচর গ্রামের চুইন ভ্যারাইটির আখ চাষী সুজা মিয়া বলেন, চৈত্র-বৈশাখ আখ বিক্রির ভরা মৌসুম।  তাই বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যবসায়ি এবং পাইকাররা আখ কিনতে আসছেন। উপকরণ দাম বাড়ায় আখ চাষের ব্যয় বেড়েছে। তবে এবছর আখের ফলন ভালো ও বাজারে আখের চাহিদা থাকায় দাম ভালো আছে এজন্য আর্থিক ভাবে লাভবান হওয়ার আশা আছে। তিনি বলেন  বিগত দু’তিন বছর করোনার ভাইরাসের কারনে আখ বিক্রি করতে না পারায় এই এলাকার আখচাষীদের ক্ষেতেই শত শত বিঘা জমির আখ নষ্ট হয়ে চরম লোকশানে গুনেতে হয়েছে। এবার কিছুটা হলেও সে ক্ষতি পোষাতে পারেবেন কৃষক। 

ব্যবসায়ি ও স্থানীয় আখের রস বিক্রেতা সোলায়মান আলী জানান, এবছর গরম বেশি পরায় বাজারে আখের রস বিক্রি বেড়েছে আর এ কারনে আখের চাহিদা বেড়েছে। জমি থেকেই প্রতি পিছ আখ কিনতে হচ্ছে ৯ থেকে ১০ টাকায়। যা শত করা ৯০০ থেকে হাজার টাকা। আর একগ্লাস সরবত বিক্রি হয় ১০ টায়। গরম থাকলে বেশ ভাল বিক্রি হয়।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রেজা-ই-মাহমুদ বলেন, চাষীদের বিশেষ লাল জাতের চুইন ভ্যারাইটির এ আখ চাষ আবাদে কারিগরি ধারণা বৃদ্ধিতে প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এই আখ এই উপজেলার একটি অর্থকরী ফসল সে জন্য বিশেষ তদারকি রয়েছে নিয়মিত।  তবে আখ চাষ করে যাতে ক্ষতির মুখে পরতে না হয় সে জন্য আগামীতে আখের রসের জুস তৈরীতে সরকারি ও বেসরকারিভাবে উদ্যোগ সহ পক্রিয়াজাতকরণের দাবি জানিয়েছেন এই এলাকার আখ চাষীরা। 
 

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad