• মাধুকর প্রতিনিধি
  • তারিখঃ ১৪-৫-২০২৩, সময়ঃ রাত ০৭:০২
  • ৩৯ বার দেখা হয়েছে

ঘূর্ণিঝড় মোকার কারণে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে অনেক ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে

ঘূর্ণিঝড় মোকার কারণে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে অনেক ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে

মাধুকর ডেস্ক ►

ঘূর্ণিঝড় মোকার কারণে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে অনেক ঘরবাড়ি ভেঙ্গে পড়েছে এবং গাছপালা উপড়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা আজিজ রোববার বিকেলে টেলিফোনে বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, পুরো দ্বীপে লণ্ডভণ্ড অবস্থা। টিনের, বাঁশের হালকা ঘরবাড়িগুলো উড়ে গেছে। টিন, কাঠ, বাঁশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। জায়গায় জায়গায় নারকেল গাছ, বিভিন্ন ধরনের গাছ উপড়ে পড়ে আছে। জেটির কাছে যে হোটেল- রেস্তোরাগুলো ছিল, সেগুলোর বেশিরভাগই ভেঙ্গে পড়েছে বলে জানান তিনি। তিনি আরও জানান, এখনও দ্বীপের বেশিরভাগ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে। 

সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা তকি উসমানি বলেন, 'আমরা সেন্টমার্টিন হাসপাতালে স্থাপিত আশ্রয়কেন্দ্রের ৩ তলায় আছি। এই আশ্রয়কেন্দ্রে আছেন প্রায় ১ হাজার ৩০০ মানুষ। অল্প কিছু মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে এসে উঠেননি। খবর পেয়েছিলাম গাছ ভেঙে পড়ে তাদের মধ্যে ৩ জন মারা গেছেন, যদিও সেটা নিশ্চিত হতে পারিনি। ঝড় থামার আগে কোনোদিকে যাওয়ার মতো অবস্থা নেই। ঝড় থামলে তারপর নিশ্চিত হওয়া যাবে।'

মোকার প্রভাবে কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে ব্যাপক ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, বেলা আড়াইটার সময় সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ১৪৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বাতাসের গতিবেগ ছিল। মোকার প্রভাবে টেকনাফেও ব্যাপক ঝড়-বৃষ্টি হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপকূল ছাড়তে থাকা মোখা উত্তর ও উত্তরপুর্ব দিকে এগিয়ে সামান্য দুর্বল হয়ে গেছে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র আজ বেলা তিনটায় মিয়ানমারের সিটুয়ের কাছে দিয়ে কক্সবাজার ও উত্তর-মিয়ানমার উপকূল ছেড়ে মিয়ানমারের স্থলভাগের ওপর আছে। সম্পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়টি আজ সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল ছেড়ে ধীরে ধীরে দুর্বল হতে পারে।

কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহা বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এই জেলা কাছের দ্বীপ ও চরগুলো  ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

নিউজটি শেয়ার করুন


এ জাতীয় আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়