আবু কায়সার শিপলু ►
গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের মধ্যম কুমেদপুর গ্রামে , ওই গ্রামের মৃত: দছির উদ্দিন এর পুত্র মঞ্জিল মিয়া তার বসতভিটার পুকুর পাড় দিয়ে প্রতিবেশী মৃত আব্দুস সুবহানের পুত্র ছকমাল মিয়া ও নয়ামিয়া সহ বেশ কয়েকটি পরিবারের চলাচলের রাস্তা খারাপ হলে সেই রাস্তায় ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের দিয়ে মাটি ফেলে চলাচলের উপযোগী করে দিতে চাইছিল ইউপি চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার।
তাই রাস্তা মেরামতে শ্রমীকদের পাঠালে রাস্তা মেরামতকে কেন্দ্র করে দুই পরে মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি এতে কাজ বন্ধ হয়ে যায়।মাটি কাটতে বাধা দেয়ায় মাটিকাটার শ্রমিকরা সেখানে নিরলস সময় পার করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মঞ্জিল মিয়া বলেন, আমি ইউপি সদস্যকে বলেছি এখানে কোন কর্মসূচির লোকজন লাগবে না। এখানে আমরা নিজেরাই মাটি কেটে নেব। আর চেয়ারম্যান মেম্বার যদি কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিক দিয়ে মাটি ভরাট করে রাস্তা বানাতে চায় তাহলে পুকুরের পূর্ব পাশ দিয়ে রাস্তা বেঁধে দিক। কিন্তু পশ্চিম পাশে আমাদের বসতভিটায় ওদের মাটি ফেলতে দেব না।
একই বিষয়ে ভুক্তভোগী প্রতিবেশী ছকমাল মিয়া বলেন, আমাদের চলাচলের রাস্তা চেয়ারম্যান মেম্বার মাটি ভরাট করে দিতে চাইছে। কিন্তু মঞ্জিল মিয়া ও তার ছেলেরা সেখানে মাটি ফেলতে দিচ্ছে না। তারা গভীর পুকুর ভরাট করে আমাদেরকে চলাচল করতে বলে। কিন্তু অতো টাকাতো আমাদের নাই। আমি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে আমাদের যাতায়াতের রাস্তার ব্যবস্থা চাই।
এ বিষয়ে বল্লমঝাড় ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ওই যাতায়াতের রাস্তায় মাটি-ভরাটের জন্য আমি ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পের শ্রমিকদের পাঠিয়েছি। কিন্তু একটি প সেখানে মাটি ফেলতে দিচ্ছে না। ওই শ্রমিকদের সময়ও আর খুব বেশি নাই। এখন উনারা কেন মাটি ফেলতে বাধা দিচ্ছে, এই বিষয়ে আমি উপর মহলে জানিয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।