Ad
  • মাধুকর প্রতিনিধি
  • ১৮ ঘন্টা আগে

চার বছর পর ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ

চার বছর পর ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশ হলো বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক►

টি-টোয়েন্টিতে উড়তে থাকা বাংলাদেশকে একেবারে টেনে হিচরে মাটিতে নামিয়ে আনলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টানা চার সিরিজ জয়ের পর এবার উইন্ডিজের কাছে সিরিজ হারের স্বাদ পেলো টাইগাররা। চট্টগ্রামে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৫১ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্য ১৯ বল বাকি থাকতেই টপকে যায় সফরকারীরা। আর তাতেই ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পায় লাল-সবুজের দল।

টি-টোয়েন্টিতে চার বছর পর ঘরের মাঠে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পেলো বাংলাদেশ। ঘরের মাঠে সবশেষ হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে। ২০২১ সালের নভেম্বরে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের সবগুলোতেই হেরেছিল টাইগাররা। সেই তিন ম্যাচের সবগুলোতেই আগে ব্যাট করেছিল স্বাগতিকরা। 

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর টি-টোয়েন্টিতে এসেই খেই হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে শুরুর দুই ম্যাচে হেরে আগেই সিরিজ হাতছাড়া করায় আজকের ম্যাচটা ছিল হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর। তবে শেষ পর্যন্ত হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পারলো না টাইগাররা। 

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় বাংলাদেশ। তবে এক তানজিদ হাসান তামিম ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই দাঁড়াতে পারেনি উইকেটে। তানজিদ ও সাইফ ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই ছুঁতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘর। শেষ পর্যন্ত তামিমের ৮৯ রানে ভর করে ১৫১ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। 

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্কোরবোর্ডে মাত্র ৬ রান যোগ হতেই অ্যালিক আথানেজের উইকেট হারায় তারা। তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে মেহেদী হাসানকে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে স্টাম্ড আউট হয়ে ফেরেন এই ওপেনার। ৮ বল খেলে মাত্র ১ রান করেই ফেরেন আথানেজ। 

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের চতুর্থ বলে ব্র্যান্ডন কিংকে বোল্ড আউট ফেরান নাসুম আহমেদ। ৭ বলে ৮ রান করে আউট হন তিনি। এক প্রান্ত আগলে রেখে উইকেটে থিতু হওয়া আমির জাঙ্গুকে এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে ফেলেন রিশাদ হোসেন। ৫২ রানেই ৩ উইকেট হারায় উইন্ডিজ। 

চতুর্থ উইকেট জুটিতে পুরোপুরি ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় উইন্ডিজ। এই জুটিতে ৪৬ বলে ৯১ রান যোগ করেন রোস্টন চেজ ও আকিম অগাস্তে। জয় থেকে যখন মাত্র ৯ রান দূরে, তখন সাজঘরে ফেরেন রোস্টন চেজ। ২৯ বলে ৫০ রান করা এই ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরান রিশাদ হোসেন। তার এক বল পরই অগাস্তেকে মেহেদী হাসানের ক্যাচ বানান রিশাদ। ফেরার আগে ২৫ বলে ৫০ রান করেন এই ব্যাটার। 

এরপর আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি রোভম্যান পাওয়েল ও মোতি। ১৯ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় উইন্ডিজ। বাংলাদেশের হয়ে রিশাদ হোসেন নেন ৩ উইকেট। মেহেদী হাসান ও নাসুম আহমেদ নেন ১টি করে উইকেট।

এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালোই করে স্বাগতিকরা। যদিও জেসন হোল্ডারের করা ইনিংসের প্রথম বলটা গিয়ে লাগে তানজিদ তামিমের প্যাডে। এলবিডব্লিউ-এর আবেদন করলেও তাতে সাড়া দেননি আম্পায়ার। পরে রিভিউ নিয়েছিল উইন্ডিজ, কিন্তু পিচিং আউটসাইড হওয়ার কারণে সে যাত্রায় বেঁচে যান বাঁহাতি এই ওপেনার। 

তৃতীয় ওভারের চতুর্থ বলেই সাজঘরে ফিরতে পারতেন তানজিদ তামিম। রোমারিও শেফার্ডের বলে মিড অফে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। তবে সহজ ক্যাচটাও হাতে জমাতে পারেননি জেসন হোল্ডার। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন পারভেজ হোসেন ইমন। ১০ বলে ৯ করা এই ব্যাটারকে মোতির ক্যাচ বানান রোস্টন চেজ। 

পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান তোলে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তানজিদের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন অধিনায়ক লিটন দাস।  দলীয় ৪৪ রানের মাথায় পিয়েরের বলে মোতির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ৬ রান। 

তৃতীয় উইকেট জুটিতে সাইফকে নিয়ে জুটি গড়েন তানজিদ। জেসন হোল্ডারের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে আকিম অগাস্টের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাইফ ফিরলে ভাঙে তাদের ৪৩ বলে ৬৩ রানের জুটি। সাজঘরে ফেরার আগে সাইফ হাসানের ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ২৩ রান। 

এদিন পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি রিশাদ হোসেন। ৩ বলে ৩ রান করে খ্যারি পিয়েরের বলে এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার। 

এরপর বাকি ব্যাটারদের কেউই সুবিধা করতে পারেননি। নুরুল হাসান সোহান ফেরেন ৩ বলে ১ রান করে। নাসুমও ফেরেন ১ রান করে। জাকের আলী ফেরেন ৫ রান করে। শরিফুল ইসলাম ফেরেন গোল্ডেন ডাক মেরে। ৪ বলে ৯ রান তাসকিন ফেরেন ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হয়ে। 

উইন্ডিজের হয়ে রোমারিও শেফার্ড নেন ৩ উইকেট। খ্যারি পিয়েরে ও হোল্ডার নেন ২টি করে উইকেট। এছাড়া আকিল হোসেন ও রোস্টন চেজ নেন ১টি করে উইকেট।

নিউজটি শেয়ার করুন

Ad

এ জাতীয় আরো খবর
Ad
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
Ad